

শীতে ঠাণ্ডার জন্য বেশিরভাগ সময়ই ঘরের ভিতরে থাকায় শরীরে ভিটামিন D-র মাত্রা কমে যায়। যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতায় প্রভাব ফেলে। এমনটা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এর জন্য বাচ্চা থেকে বড়, এই সময়ে সকলেরই শরীরে নানা সমস্যা হয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস সহজেই কাবু করতে পারে। তবে, এই সময়ে সব চেয়ে বেশি সমস্যা হয় শিশুদের। একদম ছোট বাচ্চাদের তাই শীতের কটা মাস বিশেষ ভাবে যত্ন নিতে হয়। শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের খাওয়ানো, গরম জামা গায়ে দিয়ে রাখার পাশাপাশি আরও কিছু বাড়তি যত্ন নিতে হয় এই সময়ে।


মায়ের সংস্পর্শে রাখা - শিশুরা বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা খুব সহজে অ্যাডজাস্ট করতে পারে না। যার ফলে তাদের অনেক বেশি ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। তাই এই সময়ে মায়ের সংস্পর্শে থাকা অত্যন্ত জরুরি। কারণ মায়ের শরীরের তাপমাত্রায় শিশুরা আরাম পেতে পারে ও ঠাণ্ডা কমতে পারে।


গরম জামা পরানো - শীতে শিশুদের যেহেতু বেশি ঠাণ্ডা লাগে তাই দু'-তিনটে জামা, সঙ্গে গরম জামা পরিয়ে রাখলে ঠাণ্ডা কম লাগতে পারে। অনেকগুলি লেয়ারের মধ্যে দিয়ে ঠাণ্ডা শরীরে প্রবেশ করতে পারে না। আর জামা ছাড়াও, টুপি, মোজা, গ্লাভস পরিয়ে রাখলেও ভালো হয়।


রুম হিটার - যদি খুব বেশি ঠাণ্ডা পড়ে, বিশেষ করে সূর্য ডোবার পর, ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য রুম হিটার চালিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এতে বাচ্চার ঠাণ্ডা লাগা কমতে পারে। তবে, মাথায় রাখতে হবে, হিটারটি যেন বাচ্চার আশেপাশে না থাকে।


বিভিন্ন ধরনের মাসাজ - হার্বাল অয়েল বা যে কোনও তেল দিয়ে শিশুকে মাসাজ করলে তা শুধু যে পেশি আর হাড় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এমন নয়। এই মাসাজ তাদের শরীর ভিতর থেকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। সঙ্গেই রক্তচলাচল ঠিক রাখে। ত্বক নরম ও তুলতুলে রাখতে সাহায্য করে। শুধু তেলই নয়, বিভিন্ন ক্রিমের সাহায্যেও মাসাজ করা যেতে পারে। এতে ত্বকের রুক্ষভাব কমে যায়।


স্তন্যপান - শিশু বয়সে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্তন্যপানের চেয়ে ভালো আর কিছু হয় না। মায়ের শরীরে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার যে অ্যান্টি-বডি তৈরি হয়, তা এর সাহায্যে শিশুর শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এতে বিভিন্ন ভাইরাস ও ইনফেকশন থেকে দূরে থাকতে পারে শিশুরা। চিকিৎসকরা বলে থাকেন, সাধারণত ৬ মাস বয়সের পর থেকে ভারি খাবার খেতে শুরু করে শিশুরা, তার আগে পর্যন্ত তাকে স্তন্যপান করানো উচিৎ!