কেরলে এ বছর দেরীতে বর্ষা। নির্ধারিত সময়ে পয়লা জুন বর্ষা ঢোকে কেরলে। এই মরশুমে বর্ষা কেরলে আসবে ৪ জুন। অর্থাৎ এবছর বর্ষা দেরীতে ঢুকছে বলে জানিয়ে দিল মৌসম ভবন।
বিহার থেকে ওড়িশা পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা তৈরি হয়েছে। এই অক্ষরেখার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে বাংলায়। এর প্রভাবেই বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের।
দক্ষিণ বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। একইসঙ্গে পশ্চিমের জেলাগুলিতে আজ, বুধবার গরম ও অস্বস্তি অনেকটাই থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই দিনের বেলায় গরম বাড়বে এবং থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বিকেল বা সন্ধ্যার দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হবে।
★বৃহস্পতিবার বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বৃহস্পতিবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ২৪ পরগনা এবং পূর্ব বর্ধমান জেলাতে। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত দমকা ঝোড়ো হাওয়া, সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং হালকা ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। উত্তরবঙ্গের আট জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে হালকা ঝোড়ো হাওয়া এবং বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে।
কলকাতায় আজ, বুধবার আংশিক মেঘলা আকাশ। আজ সকাল থেকে দিনভর গরম ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। বিকেলে বা সন্ধ্যেয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। আজ, বুধবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। গতকাল, মঙ্গলবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।