দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত ঘনীভূত। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবারের মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এটি শক্তিশালী নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই শক্তিশালী নিম্নচাপ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পেরিয়ে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম অভিমুখে এগোবে। আবহাওয়া দফতর এখনও ঘূর্ণিঝড়ের পরিণত হওয়ার কথা না বললেও আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন এই নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। Representative Image
ঘূর্ণিঝড় হওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। ঘূর্ণিঝড় হলে এই সিস্টেমের নাম হবে ‘অশনি’। ঘূর্ণিঝড়ের এই নাম শ্রীলঙ্কার দেওয়া। আবহবিদরা মনে করছেন সরাসরি উত্তর-পশ্চিম দিকে এগুলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে। তবে এই সিস্টেম সমুদ্রের মধ্যেই গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। সেক্ষেত্রে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের মধ্যে যেকোনও জায়গায় এটি স্থলভাগের প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবার উপকূল বরাবর সমুদ্রে শক্তি ক্ষয় করতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। আপাতত নিম্নচাপ শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তবেই আবহাওয়া দফতর এর বিস্তারিত গতিপথ জানাতে পারবে। Representative Image
আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি উপকূলের তিন জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ব্যাপকতা ও পরিমাণ দুটোই কমবে। ফের আগামী সোম-মঙ্গলবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলিতে। Representative Image