জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি ছিল দক্ষিণবঙ্গে। জুলাই মাসেও সেই ঘাটতি পূরণ তো হলোই না বরং ঘাটতি বেড়ে দক্ষিণবঙ্গে সামগ্রিকভাবে ৫০ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি। উত্তরবঙ্গে সারপ্লাস বৃষ্টি ছিল ৫০ শতাংশ জুন মাসে। জুলাই মাসে নতুন করে আর ভারী বৃষ্টি হয়নি উত্তরবঙ্গে। এর ফলে উত্তরবঙ্গে সারপ্লাস বৃষ্টির পরিমাণ কমে ২৫ শতাংশ।
রাজ্যে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা চার পাঁচ দিনে নেই। উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের জেলা দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে। বাতাসে জলীয় বাষ্প নব্বই শতাংশের বেশি থাকায় অস্বস্তি ভোগাবে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সাত জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর হাওড়া হুগলি এবং কলকাতায় ছোট ছোট স্পেলে পাঁচ দশ মিনিটের জন্য হালকা মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলা এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতররের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস বলেন, রাজ্যে এখন দুর্বল মৌসুমী বায়ু। ২০২২-এর অ্যাকটিভ মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে একদিনের জন্য হয়নি। আগামী চার পাঁচ দিনে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ার কোনও সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। সিনপক্টিক সিচুয়েশন এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গ কোথাও না থাকার কারণে বড় বৃষ্টি নেই। যে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে সেটিও অনেকটা দূরে ওড়িশা অন্ধ্র উপকূলে রয়েছে এবং মৌসুমী অক্ষরেখা জবলপুর কলিঙ্গপত্তনম হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়েছে। অনেক দূরে থাকায় এই দুই সিস্টেমের কোনও ইম্প্যাক্ট আমাদের রাজ্যে পড়বে না।
মৌসুমী অক্ষরেখা জয়সলমির কোটা জবলপুর পেন্ড্রারোড এবং কলিঙ্গপত্তনম হয়ে বঙ্গোপসাগরে বিস্তৃত হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত এলাকার উপর দিয়ে মৌসুমী অক্ষরেখা পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এছাড়াও ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে যেটি দক্ষিণ-ওড়িশা ও উত্তর অন্ধপ্রদেশ উপকূল বরাবর। এই ঘূর্ণাবর্তটি আরও শক্তিশালী রূপ নিতে পারে। অফশোর অক্ষরেখা মহারাষ্ট্র থেকে কেরালা পর্যন্ত বিস্তৃত আরব সাগর উপকূল বরাবর।