

নতুন বছরের শুরু থেকেই বাড়তে শুরু করেছিল তাপমাত্রা। শুক্রবার অল্প বেড়েছিল শহরের তাপমাত্রা। শনিবার আরও এক ডিগ্রি বাড়ল তাপমাত্রা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন এই ধরনের তাপমাত্রা থাকবে। রাতের দিকে সামান্য ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা গরম ভাল থাকবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।


শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় একটুও বৃষ্টি হয়নি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে খানিকটা।


উত্তর ভারতে বৃষ্টি প্রায় থেমে গিয়েছে। ফের একবার বাড়তে পারে ঠাণ্ডা। রাজস্থান আর দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে যে ১১ ও ১২ জানুয়ারি উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মাসে, দেশের বেশিরভাগ জায়গায়, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে ভাল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


উত্তর-পশ্চিম ভারতে শুষ্ক উত্তুরেও উত্তর পশ্চিম হাওয়া হাওয়ার কারণে, আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি। এমন পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ড, পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর রাজস্থানে শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে। আইএমডি অনুসারে, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশে এবং দিল্লি, পূর্ব উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান এবং উত্তর-পশ্চিম মধ্য প্রদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জায়গাগুলিতে ৯ ও ১০ জানুয়ারির সকালে ঘন কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


শুক্রবার হরিয়ানার হিশার ছিল সব থেকে শীতল জায়গা। হরিয়ানায় হিশারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। শুক্রবার দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে এসেছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। একদিন আগে, এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীতে মেঘের আচ্ছন্নতার কারণে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে পারে নি।