

উত্তরবঙ্গে আজও অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। অসম, মেঘালয়-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রবল বর্ষণের ফলে আশঙ্কা বাড়ছে। উত্তরবঙ্গের নদীর জল স্তর বেড়েছে। নিচু এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা। পার্বত্য এলাকায় ধ্বস নামছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে আকাশের মুখ ভার। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস।


দক্ষিণা ও দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে উত্তরবঙ্গ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। মৌসুমী অক্ষ রেখা বিকানির, জয়পুর এর পর মধ্যপ্রদেশের নিম্নচাপ এলাকার মধ্যে দিয়ে বাংলার শান্তিনিকেতন হয়ে বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, মিজোরাম এর উপর দিয়ে মনিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করায় সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা।


এর প্রভাবে শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সর্তকতা উত্তরবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে এই জেলাগুলিতে। কমলা সর্তকতা রয়েছে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্যও।


আগামিকাল শুক্রবার উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা। ওপরের পাঁচ জেলায় দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা। ভারী বৃষ্টির সর্তকতা থাকছে মালদা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্য। শনিবারেও ভারী বৃষ্টির সর্তকতা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়।


দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সর্তকতা না থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টি চলবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই মেঘলা আকাশ, কোথাও আংশিক মেঘলা আকাশ। বজ্রবিদ্যুৎ সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির পূর্বাভাস শুক্রবার পর্যন্ত। বাতাসে জলীয় বাষ্প খুব বেশি পরিমাণে থাকায় আদ্রতা জনিত অস্বস্তি চরমে উঠবে।


আজ সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিক। গতকাল বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ৮৮ থেকে ৯৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা সহ আলিপুরে বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে ১৫ মিলিমিটার।


বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ সরে মধ্যপ্রদেশে। পশ্চিম মধ্য প্রদেশ ও দক্ষিণ উত্তরপ্রদেশ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর সঙ্গে রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। এই নিম্নচাপটি আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাবে। একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে উত্তর প্রদেশ থেকে দক্ষিণে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত। ঘূর্ণাবর্ত হয়েছে কঙ্কন ও গোয়া সংলগ্ন এলাকা এবং রাজস্থানে।


এই সিস্টেম গুলির প্রভাবে আগামী চার পাঁচ দিন উত্তর-পূর্ব অসংলগ্ন পূর্ব ভারতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ-সহ উত্তর পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে উত্তর প্রদেশ ও বিহারে। ভারী বৃষ্টি হবে কঙ্কন, গোয়া, মধ্য মহারাষ্ট্র ও মারাঠাওয়াড়াতে। ছত্রিশগড়, ওড়িশাতেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।