সাল ১৯৯৩। তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়৷ তারপরের রক্তাক্ত ইতিহাস সবার জানা৷ গুলিতে মৃত্যু হয় ১৩ জনের৷ এরপরে ইতিহাসের পালাবদল৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল৷ শক্ত ঘাঁটি, পাকা ভিত আর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও, তিন- তিন বার বাংলার মসনদে বসেও সংগ্রামের দিন তিনি ভোলেননি৷
উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এলাকা থেকে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বন্দন দাস। মিছিল ব্রাবোর্ন রোডের দিকে যেতেই শুরু হয় হাঙ্গামা। আচমকা পুলিশের গুলি। তরতাজা যুবক বন্দন সেদিন লুটিয়ে পড়েছিলেন পুলিশের গুলিতে। সহকর্মীরা প্রাণ বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। শত চেষ্টার পরও শেষমেষ তাঁকে বাঁচানো যায়নি। আজ ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় এলেন শহীদ বন্দন দাসের মা ধাত্রী দেবী। আজ ২১শে জুলাই-এর মঞ্চে থাকবেন শহীদের মা। সেইসব স্মৃতি মনে রেখে ধর্মতলায় থাকবে শহীদ তর্পণের ব্যবস্থা। সকাল ৬টা থেকেই সেখানে হাজির থাকবেন দলের প্রথম সারির নেতারা। কোভিড বিধি মেনেই সব ব্যবস্থা থাকতে বলা হয়েছে। শ্যামবাজার, গিরিশ পার্ক, লেকটাউন, পার্ক স্ট্রিট, এসপ্ল্যানেড, চেতলা, টালিগঞ্জ, হাজরা সহ একাধিক জায়গায় থাকছে জায়ান্ট স্ক্রিন।