

গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরতে চাইছেন শুভেন্দু । পুরুলিয়ার কাশীপুরের সভায় তাঁর এমন অভীপ্সাই দেখা গেল। নিজেকে ঘরের ছেলে দিয়ে পরিচয় দিয়ে শুভেন্দু বললেন, গোটা রাজ্য চালাচ্ছে দক্ষিণ কলকাতার মুষ্টিমেয় কয়েকজন। এদিকে তৃণমূল নেতা তাঁকে নব্য বিজেপি বলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণ হিসেবে বিঁধতে চাইলেন।


এদিন শুভেন্দুর সভা শুরু হতেই বিপত্তি দেখা যায়। সভাস্থলে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে, গাড়িটিতে তৃণমূলের পতাকাও লাগানো ছিল। শুভেন্দু বলেন, স্থানীয় পুলিশকে তো দেখা যাচ্ছে না। কারণ তোলাবাজ ভাইপো পুলিশ এসেছে। লালার কম্পিউটারে এই এস পি'র নাম আছে। এই মিটিং দেখে পুলিশের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। "


শুভেন্দু এদিন বলেন, "আমি টিএমসি-র যুবদের দায়িত্ব নেওয়ার পরে এই জেলায় সব চেয়ে বেশি এসেছি। নারকীয় অবস্থা ছিল এই জেলায়। সেই অতীত থেকে অনেক আশা নিয়ে পরিবর্তন করেছিলেন। সেটা আপনাদের কাজে লাগল না।"


নাম না করেই এদিনও অভিষেকের দিকেই আঙুল তোলেন শুভেন্দু। বলেন, তোলাবাজ ভাইপোর দৃষ্টি পড়ল ২০১৬ থেকে। পাথর আর কয়লার জন্যে। লালা প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করেছে।


তাঁর যুক্তি, তৃণমূল পদ্মফুলের বান্ডিলকে জোড়া ফুলে বদলে পঞ্চায়েত জিতেছে এই অঞ্চলে। গোটাটাই হয়েছে দুর্নীতি করে।


করোনা ভ্যাকসিন রাজনীতি নিয়েও সরব হন শুভেন্দুষ বলেন, কোভিড ভ্যকসিন প্রধানমন্ত্রী বিনামূল্যে দেবেন বলেছেন। আর আজকে উনি চিঠি দিয়ে বলছেন বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন দেব। এটার নাম না আবার 'টিকাশ্রী' নাম দিয়ে দেয়।


তৃণমূলকে তোলাবাজির অস্ত্র বিদ্ধ করতেও দেখা গেল শুভেন্দুকে। নাম করে বললেন, পশ্চিম মেদিনীপুর একজন পতি বলে আছে, তোলা তুলত চাকরির জন্যে। পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুরে একজন করেছে। এরা টাকা তুলে দিয়েছে ভাইপোর কাছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবী সভার কথাও শোনা গেল শুভেন্দুর মুখে। বললেন, মমতার পুরুলিয়া জেলার সভার পালটা সভা আমি করব পুরুলিয়ার জয়পুর থেকে। মিথ্যার জবার পরের দিন দেব। তিনি বলেন,"পুরুলিয়া জেলায় ১৫ দিন অন্তর অন্তর আমি সভা করব। আমি শুভেন্দু অধিকারী ঘরের ছেলে এখানে টি এম সি'কে প্রতিষ্ঠা করতে যা করেছিলাম। বিজেপিকে হৃষ্টপুষ্ট করতে আরও বেশি করে কাজ করব।"