

অবশেষ গোসা ভেঙে বিজেপি-র দফতরে পৌঁছলেন শোভন- বৈশাখী৷ রবিবার সন্ধ্যায় হেস্টিংসে বিজেপি দফতরে পৌঁছন শোভন- বৈশাখী৷ আর সেখানে গিয়েই পুরোন দলকে অস্বস্তিতে ফেলতে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের দাবি, বিজেপি-র সিগন্যালেই তৈরি হয়েছিল তৃণমূল৷


আজ, সোমবার কলকাতায় ফের রোড শো করার কথা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তার আগে রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা সাংগঠনিক জোনের বৈঠক করতে বৈশাখীকে নিয়ে হেস্টিংসের বিজেপি দফতরে পৌঁছন শোভন৷ তাঁকে ইতিমধ্যেই বিজেপি-র কলকাতা সাংগঠনিক জোনের পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷


বৈঠক শেষে তৃণমূলে ভাঙন প্রসঙ্গে শোভন বলেন, 'তৃণমূলের এখন অবস্থা ছোট চাদরের মতো৷ পা ঢাকতে গেলে মাথা বেরিয়ে যাচ্ছে, মাথা ঢাকতে গেলে পা৷ বিজেপি-র সিগন্যালেই তো ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি তৃণমূল তৈরি হয়েছিল৷'


বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতের অভিযোগে এ রাজ্যে বার বার সরব হয়েছে বাম- কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলি৷ ফলে শোভনের এ হেন বক্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়ল৷


শোভন আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূলকে যে নেতারা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তাঁরাই দলে সম্মান না পেয়ে বাধ্য হয়ে দল ছাড়ছেন৷ শোভন বলেন, 'যাঁরা সংগ্রাম করে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তাঁরা কী ব্যবহার পেলেন? মুকুল রায়ের মতো নেতা দলে থাকতে পারলেন না৷ তার পরেও আত্মসমালোচনা করার প্রয়োজন অনুভব করা হয়নি৷ দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল৷ আজকে বিজেপি যে আমাদের কাজের সুযোগ দিচ্ছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ৷'


যদিও শোভনকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়৷ তিনি বলেন, 'এতদিন তো এই ছোট চাদর গায়ে দিয়েই ছিলেন৷ বিজেপি এখন যা বলতে বলছে, উনি তাই বলতে বাধ্য হচ্ছেন৷'