শহরে ফের পানীয় জলে সংক্রমনের আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যে ওয়ার্ডে সেখানে বেশ কয়েক দিন ধরেই ডায়ারিয়ায় অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অথচ রবিবার সকাল পর্যন্ত সেই খবরই ছিল না কলকাতা পুরসভার কাছে। এমনটাই জানালেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। শিবরাত্রির দিন থেকেই জলে ঘোলাটে ভাব দেখেন বাসিন্দারা। কলকাতা পুরসভার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই বাসিন্দাদের অভিযোগ, জল পান করেই একাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে এক পুরকর্মীর৷
পরিবারের দাবি দূষিত জল পান করেই মৃত্যু হয়েছে কলকাতা কর্পোরেশনের শ্রমিক ভুবনেশ্বর দাসের। ৭১নম্বর ওয়ার্ডে ইঞ্জিনিযারিং বিভাগে কাজ করতেন। শনিবার সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। ভুবনেশ্বরের দাসের স্ত্রী এখনও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুবনেশ্বরের মেয়ে সীমা জানান, শিবরাত্রির দিন বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতাল ও পরে আকাশের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
পুরসভার ঘোলা পানীয় জল খেয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে এমনটাই অভিযোগ পরিবারের। প্রথম থেকেই পায়খানা ও বমি অর্থাৎ ডায়ারিয়ার উপসর্গ ছিল বলে দাবি ভুবনেশ্বর দাসের মেয়ের৷ যদিও পুরসভা এই যুক্তি মানতে নারাজ। মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক বললেও ভুবনেশ্বর দাসের মৃত্যু পানীয় জলের সংক্রমণে হয়েছে এই তথ্য মানতে নারাজ ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, কোন মৃত্যুই দুঃখজনক। তবে এর মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের উল্লেখ রয়েছে জলে সংক্রমণ নয়। অনেকেই অসুস্থ হয়েছেন কী কারণে খতিয়ে দেখতে পুরসভার আধিকারিকদের পাঠানো হয়েছে। তাঁরা অনুসন্ধান করে রিপোর্ট দেবেন। এলাকার বাসিন্দাদের পানীয় জলের জন্য পুরসভার জলের গাড়ি পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় ৭দিন ধরেই ৭৩নম্বর ওয়ার্ডের শশী শেখর বসু রো এর পুরসভার শ্রমিক আবাসনের পানীয় জল দূষন নজরে আসে। এখানে পুরসভার শ্রমিক আবাসনের পাশে বস্তি এলাকাও রয়েছে। দূষিত জল খেয়ে বস্তিবাসী থেকে শ্রমিক অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে দাবি এলাকাবাসীর। বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতলে চিকিৎসা চলছে অনেকেরই Input-BISWAJIT SAHA