অভিষেকের হস্তক্ষেপে ভাঙা মন জোড়া লেগেছে। দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্তও ফিরিয়ে নিয়েছেন। আস্থা দেখিয়েছেন তাঁর পুরনো দলের প্রতি। সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিওয়ার আগেই দল পুরস্কৃত করল শতাব্দী রায়কে। রবিবারই তাঁকে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি ঘোষণা করা হল। শতাব্দী ছাড়াও মালদহের মোয়াজ্জেম হোসেন ও বালুরঘাটের শঙ্কর চক্রবর্তীকেও রাজ্যকমিটিতে ভাইস, প্রেসিডেন্ট পদ দেওয়া হয়েছে।জেলার কো অর্ডিনেটরের পদ পেয়েছেন সুভাষ চাকি, ললিতা তিগ্গা। মুখপাত্র হয়েছেন জয়ন্ত দাস।
ঘটনার শুরুয়াত একটি ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে। শতাব্দী তাঁর ফ্যান ক্লাবের পাতায় লেখেন," মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়।' শাসক দলের রক্তচাপ বাড়িয়ে তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি দুপুর দুটোয় কোনও সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি নিতে পারেন৷
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বীরভূমের সাংসদ জানান, "বীরভূমের নাগরিকদের প্রতি-আজ একটি পোস্ট করব বলেছিলাম। এই লেখার মাধ্যমে আমার বক্তব্য জানাচ্ছি।আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন করছিলেন কেন এলাকার বহু কর্মসূচিতে আমাকে দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমি তো চাই এলাকার মানুষের পাশে থাকতে। কিছু সমস্যা হচ্ছে। কিছু যন্ত্রণা অনুভব করছিলাম। চেষ্টা করছি সব বাধা টপকে এলাকায় সবসময় থাকার। বিষয়টি ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম আপনাদের।এই সূত্রেই কিছু বহুমুখী ঘটনা ঘটছিল।শেষ পর্যন্ত তৃণমূল পরিবারের প্রিয় নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সবিস্তারে আলোচনা হয়েছে। আমি সমস্যার জায়গাগুলি জানিয়েছি। তিনিও শুনেছেন এবং আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনা ইতিবাচক। সমস্যার সমাধান হবে বলে আমি আশাবাদী।'