

বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনায় উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে মমতার হাত শক্ত করতে রাজ্যে আসছেন দিল্লি সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের শুরু থেকেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। শুধু তাই নয়, বারবার প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি নিজেও কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, বিজেপিকে বিঁধেছেন বারবার। এবার ভোট বঙ্গে আসছেন আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা। থাকছেন রাকেশ টিকাইত, হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব, বলবীর সিং রাজেওাল, গুরনাম সিং চাডুনি, দর্শন পাল, রাজারাম সিং, জুধবীর সিংয়ের মতো কৃষক নেতারা।


কৃষক নেতাদের কর্মসূচি অবশ্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বৃহস্পতিবার রাতেই কৃষক নেতাদের পৌঁছে যাওয়ার কথা নেতাদের। আগামীকাল, অর্থাৎ ১২ মার্চ প্রথমে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাকেশ টিকাইতরা। এরপর বাংলার কৃষকদের উদ্দেশ্যে গোটা দেশের কৃষকদের পক্ষ থেকে আনা চিঠি তুলে দেবেন যোগেন্দ্র যাদবরা। এরপর তাঁদের ট্রাক্টর মিছিল করে কৃষক দূতদের সঙ্গে রামলীলা পার্কে পৌঁছনোর কথা।


শুক্রবারই দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রামলীলা পার্কেই বসবে পশ্চিমবঙ্গ কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। কাল সন্ধ্যাতে খালসা স্কুলের মাঠে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কৃষক নেতারা। এরপরই হলদিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন তাঁরা। আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বঙ্গ ভোটের এপিসেন্টার হয়ে ওঠা নন্দীগ্রামে ১৩ মার্চ বিকেলে বসবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। সেখানে অন্তত দশ হাজার কৃষক যোগ দিতে পারেন। একইদিনে কলকাতার শরৎ বোস রোডে হবে কিষান মজদুর জনসভা।


নন্দীগ্রামেই শেষ নয়, ১৪ মার্চ কৃষক নেতৃত্বের গন্তব্য় জমি আন্দোলনের আরেক 'পীঠস্থান' সিঙ্গুরে। রবিবার সকালে হবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। সেখানেও অন্তত দশ হাজার কৃষক যোগ দিতে পারেন।


সিঙ্গুর থেকে আসানসোলের দিকে রওনা দেবেন কৃষক নেতৃত্ব। সেখানেও হবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। সংযুক্ত কিষান মোর্চা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, যাবেন ভোটমুখী আরও বাকি চার রাজ্যেও। তাঁদের মূলত একটাই বক্তব্য, 'বিজেপিকে একটিও ভোট নয়'। দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের পরও নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি না মেটায় এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এই অবস্থায় ঠিক ভোটের মুখে রাজ্যে কৃষক নেতাদের কর্মসূচি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।