মালিকদের ঢের সুবিধা দেওয়ার পরেও আইনের বদল। তবুও সচেতনতা ফিরলো না শহরের। বিপজ্জনক বাড়ির সংস্কারের আবেদন সাড়া নেই কলকাতার বাড়ির মালিকদের। চিন্তায় কলকাতা পুরসভা। আইনের কড়া প্রয়োগের ভাবনাচিন্তা। পুরনো কলকাতার আনাচে-কানাচে বিপদজনক বাড়িতে মৃত্যুর হাতছানি। জীবন বাঁচাতে তৎপর কলকাতা পুরসভা ও রাজ্য সরকার। বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন নির্মাণের আবেদনে পুরসভার বিল্ডিং সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী এনেছে রাজ্য। তবু উৎসাহ নেই বাড়ির মালিকদের।
কলকাতা পৌরসভার কাছে আবেদন জমা পড়েছে মাত্র দুটি।কেন এই অনাগ্রহ?সুকুমার রক্ষিত, সাধারণ সম্পাদক, দ্য ক্যালকাটা হাউজ ওনারস এসোসিয়েশন। গাড়ির মালিকরা সংস্কারের পক্ষে হবেন কি করে?? কারণ তারা ভাড়া পাবেন রেন্ট কন্ট্রোলে আর বাজারদরে বর্তমান জিনিসপত্র কিনে বাড়ি তৈরি করতে হবে এই বৈষম্য থাকলে সমস্যার সমাধান কোনদিন হবে না।
অতি বিপজ্জনক বাড়ি উত্তর ও মধ্য কলকাতায় বেশি। তিন, চার, পাঁচ ও ছ' নম্বর বরো এলাকায় সব থেকে বেশি বিপজ্জনক বাড়ি। প্রায় এক বছর আইন সংশোধন হলেও মাত্র দুজন বাড়ির মালিক সংস্কারের আবেদন করেছে কলকাতা পৌরসভায়।বেশ কিছু বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে কলকাতা পুরসভার তিন নম্বর বরো এলাকায়। সেই তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান এর দাবি আইনের প্রয়োগ আরো কড়া হাতে করতে হবে। তাহলে বিপদজনক বাড়ি থেকে মৃত্যুর সংখ্যা ঠেকানো যাবে। অনিন্দ্য কিশোর রাউত। তিন নম্বর বরো চেয়ারম্যান। কলকাতা পৌরসভা।
কলকাতা পুরসভার আইনে ভাড়াটিয়াদের অধিকার সুরক্ষিত করতে বিশেষ সার্টিফিকেট বা শংসাপত্রের সংস্থান রাখা হয়েছে। বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি বা আবাসন তৈরি হলে সেখানে ভাড়াটিয়ারাও নির্দিষ্ট ঘর বা ফ্ল্যাট পাবেন। কাউকে মাথার ছাদ হারাতে হবে না। অনিন্দ্য কিশোর রাউত। তিন নম্বর বরো চেয়ারম্যান। কলকাতা পৌরসভা। পুরসভার আইন কে আরো কড়াভাবে প্রয়োগ করার পক্ষে সওয়াল করেন।পুর আইনে বাড়ির মালিকরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে সুনিশ্চিত হতে পারছেন না। পুরসভার বিল্ডিং আইন নয়, তারা বাড়িভাড়া আইনেরও বদল চাইছেন।সুকুমার রক্ষিত, সাধারণ সম্পাদক, দ্য ক্যালকাটা হাউজ ওনারস এসোসিয়েশন। তিনি বলেন, পুরসভার আইন নয় কলকাতায় বাড়ি ভাড়া আইন না বদলাবে এই সমস্যার সমাধান হবে না উৎসাহ পাবেন না বাড়ির মালিকরা।শুধুমাত্র ছ নম্বর বরোতেই বিপদজনক বাড়ির সংখ্যা ৩০।নতুন আইনে পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যানে ভাড়াটিয়াদেরও প্রত্যেকের নাম থাকবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও সংশয় কাটছে না। জীর্ণ ভগ্ন প্রায় বাড়ির বাসিন্দাদের বার বার বুঝিয়েও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর। Input- Biswajit Saha