

তৃণমূলে একটু একটু করে ফাটল ধরেছে গত কয়েক মাসে। বেসুরে বেজেছেন বহু নেতা। কেউ হাত ছেড়েছেন, কেউ হাত ছাড়ব ছাড়ব করছেন। কিন্তু দলত্যাগের এই হিড়িক কি শুধুই দলের সঙ্গে দূরত্ব বা কাজ না করতে ফলশ্রুতি? একটু গভীরে গেলেই বোঝা যাবে এর পিছনে আর কেউ নয়, রয়েছেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চাণক্য মুকুল রায়।


শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদানের পরপরই বলেছিলেন, "মুকুল রায় আমায় বলেছিলেন, শুভেন্দু সম্মান নিয়ে চলে আয়।" বোঝা যায় দীর্ঘদিন ধরে শুভেন্দুকে বুঝিয়েই তাঁর মন বদল করেছেন মুকুল।


অতীতে তাঁর অনুপ্রেরণায় দল ছেড়েছেন তৃণমূলের আরেক নেতা অর্জুন সিং। ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংকে তোলার পাশাপাশি মুকুলের হস্তক্ষেপে বিজেপির করতলগত হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতা সব্যসাচী দত্তও।


মুকুল রায় খোলাখুলি বলেন দল ভাঙানোকে তিনি রাজনীতির অঙ্গ বলেই মনে করেন। এ বিষয়ে কোনও রাখঢাক নেই তাঁর।


গত শুক্রবারই শতাব্দী বেসুরো হতে দেখা যায়, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মুকুল রায়। কুনাল ঘোষের সামনেই তাঁকে ফোন করেন মুকুল। অতীতে শিলভদ্র দত্ত , সুনীল মন্ডলরাও নাকি এসেছেন তাঁরই অঙ্গুলিহেলনে।


রাজনৈতিক মহলের মত, উত্তর থেকে দক্ষিণ বহু তৃণমূল নেতার সঙ্গেই পুরনো সম্পর্কের জেরে কথাবার্তা চালিয়ে যান মুকুল। তাঁর মন বোঝার চেষ্টা করেন, চেষ্টা করেন, প্রয়োজনে এগিয়ে খেলেন, দলের টানার চেষ্টা করেন সেই ব্যক্তিকে। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগও রাখছেন মুকুল।সেই যোগাযোগের ফলে কখন কোন উইকেট পড়ে, আর কতজনকে ভাঙাতে সফল হন মুকুল রায় সেটাই দেখার।