

নয়া তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় রাজধানী সীমানায় এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার ফোন করে কথা বলেছেন তাঁদের সঙ্গে, পাঠিয়েছেন দলীয় নেতাদের। এমনকী প্রতিদিন বিজেপিকে আক্রমণ করতে হাতিয়ার করছেন এই কৃষক আন্দোলনকেও। এবার তাই মমতা দিদির জয় সুনিশ্চিত করতে বঙ্গে আসছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। প্রায় দুদিন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নানা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তাঁরা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল নন্দীগ্রামে মহাপঞ্চায়েতে যোগদান। বস্তুত রাজ্যে এসে তাঁরা একটাই আওয়াজ তুলবেন, বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।


আগামী ১১ মার্চ রাতেই কলকাতায় এসে পৌঁছবেন রাকেশ টিকাইত, হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব, বলবীর সিং রাজেওাল, গুরনাম সিং চাডুনি, দর্শন পাল, রাজারাম সিং, জুধবীর সিংয়ের মতো কৃষক নেতারা। সেই রাতে বড়বাজারে থাকবেন তাঁরা। ১২ মার্চ প্রথমে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করবেন কৃষক নেতারা। এরপর বাংলার কৃষকদের উদ্দেশ্যে দেশের কৃষকদের চিঠি তুলে দেবেন নেতৃত্ব। এরপরই তাঁদের ট্রাক্টর মিছিল করে কৃষক দূতদের সঙ্গে রামলীলা পার্কে পৌঁছনোর কথা।


১২ মার্চ দুপুর তিনটে থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রামলীলা পার্কেই বসবে পশ্চিমবঙ্গ কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। এরপর সন্ধ্যায় খালসা স্কুলের মাঠে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাকেশ টিকাইত। এরপর হলদিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করবেন তাঁরা। আর সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ১৩ মার্চ নন্দীগ্রামে বসবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। অন্তত দশ হাজার কৃষক সেখানে যোগ দেবেন বলে দাবি নেতৃত্বের। সেই দিনই কলকাতাতেও বসতে চলেছে মহাপঞ্চায়েত। যদিও সেই সভাস্থল এখনও ঠিক হয়নি।


এরপর ১৩ মার্চ কৃষক নেতৃত্বের গন্তব্য় জমি আন্দোলনের আরেক 'পীঠস্থান' সিঙ্গুরে। সেখানেও হবে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত। সেখানেও অন্তত দশ হাজার কৃষক যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।


সিঙ্গুর থেকে আসানসোল গিয়ে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত করবেন তাঁরা। সেখানেও বহু কৃষক আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, যাবেন ভোটমুখী সব রাজ্যেই। সেখানে তাঁদের একটাই বক্তব্য, 'বিজেপিকে একটিও ভোট নয়'। দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকের পরও নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবি না মেটায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। এই অবস্থায় ঠিক ভোটের মুখে রাজ্যে কৃষকদের মহাপঞ্চায়েত বিজেপির অস্বস্তি বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।