

এই হুঙ্কারই শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় ৷ শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সংঘাতের আবহে মেদিনীপুরে মমতার হাইভোল্টেজ সভা থেকে বিজেপিকে খোলা চ্যালেঞ্জ ৷ টাকা ছড়িয়ে ভাঙা যাবে না তৃণমূল ৷ এই নিয়ে গেরুয়া শিবিরকে খোলা চ্যালেঞ্জ মমতার ৷


টাকা ছড়িয়ে দল ভাঙছে, সরকার ভাঙছে বিজেপি ৷ বাংলাতেও একইপন্থা নিয়েছে তারা ৷ অভিযোগ নিয়ে গর্জে উঠলেন তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এই দল গড়ে তুলেছিলেন তখনও সকলে মন্তব্য করেছিলেন ৷ এই দল মুড়িয়ে খাবে ছাগলে, মাড়িয়ে যাবে সকলে ৷ সেখান থেকে ধৈর্য দরে গড়ে তুলেছিলেন এই দল ৷ তাই বিজেপি চাইলেও সে দল ভাঙতে পারবেন না বলে হুঙ্কার মমতার ৷


মমতা এদিনের সভা থেকে আরও বলেন, ‘বহিরাগতরা এসেছে, টাকা বিলোচ্ছে, কিন্তু কোনওভাবে কিনতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে।’ পাল্টা দুর্নীতি নিয়ে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল নেত্রী ৷ বলেন, ‘তুমি দুর্নীতি-দুর্নীতি বলে চিৎকার করো। উত্তরপ্রদেশ, বিহারে কী চলছে?বিজেপি সরকার শুধুমাত্র মিথ্যে কথা বলে ৷ সাহস থাকলে পিএম কেয়ার্সের টাকা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ কর। কোন খবর সম্প্রচার হবে, সেটাও ঠিক করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ওরা কোভিডের টাকা কী দিয়েছে যে হিসেব চাইছে? এত বড় বড় কেলেঙ্কারি করে এখানে কোথায় কোন ব্লকে কী হয়েছে তাতে দুর্নীতি দুর্নীতি বলে চিৎকার করছে ৷ সব তো আর আমাদের হাতে থাকে না ৷ ’ File Photo


সরাসরি শুভেন্দুর নাম না নিলেও মমতা বুঝিয়ে দেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তৃণমূল এখন বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে৷ ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠার পর কীভাবে লড়াই করতে হয়েছে, সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূলনেত্রী৷ এই প্রসঙ্গেই দুই মেদিনীপুরের লড়াইয়ের কথা বলেন তিনি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের কথা বলতে গিয়ে বলেন, 'তৃণমূল যখন তৈরি করেছিলাম, আমার মনে আছে প্রথমবার অখিল লড়াই করেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে৷ আমরা জিততে পারিনি, দ্বিতীয় হয়েছিলাম৷ তৃণমূল কংগ্রেস অত দুর্বল নয়৷ যদি কেউ মনে করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্ল্যাকমেলিং করব, দর কষাকষি করব, তৃণমূল কংগ্রেসকে নির্বাচনের সময় দুর্বল করব৷ তাহলে সেই বিজেপি দল এবং বিজেপি দলের যারা বন্ধুদের বলব আগুন নিয়ে খেলবেন না, আর যাকে পারেন জব্দ করতে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পারবেন না৷ কারণ তৃণমূল কংগ্রেস মানুষকে আলিঙ্গন করে বেঁচে আছে৷'


অন্যদিকে, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন নেত্রী ৷ বলেন, ২০১১ থেকে আমরা কোনও বনধকে সমর্থন করিনি ৷ কাল প্রথমবার এই কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষকদের ডাকা এই বনধকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি ৷ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে ক্ষমতা ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ‘হয় বিজেপি কৃষি আইন প্রত্যাহার কর, নাহলে ক্ষমতা ছাড়ো ৷’