

দুপয়সার সাংবাদিক, এই শব্দবন্ধ তাঁকে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিল। তিনি, মহুয়া মৈত্র আবার শিরোনামে। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে নিয়ে জোর চর্চার কারণ বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ঠিক পরেই তাঁর বক্তব্য। কেউ সাবাশই দিচ্ছেন, আবার আক্রমণও শানাচ্ছেন কেউ।


অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু আজ ট্যুইটারে মহুয়ার ভাষণ সম্পর্কে লিখেছেন, কৃষি আইন পরিযায়ী শ্রমিক ও আর্থিক বৃদ্ধি বিষয়ে মহুয়ার ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। সেরা সাংসদীয় ভাষণ হিসেবেই বিবেচ্য।


প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন মহুয়া। মহুয়ার মন্তব্য নেটাগরিকদের মধ্যে ভাইরাল হয়। আবার স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাবের প্রশ্নও ওঠে। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।


রঞ্জন গগৈ প্রসঙ্গে মহুয়া বলেছিলেন, "দেশের বিচারব্যবস্থা আর পবিত্র নেই। যে দিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হেনস্থার অভিযোগের বিচার করছেন, সেদিন থেকে ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার পবিত্রতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে অবসর নিয়েই তিনি রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনয়নও পেয়ে গিয়েছেন।"


কৃষি আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, কৃষকদের জন্য এক মন্ত্রী নিযুক্ত হল। যারা ৯০ দিন অনশন করছেন তাঁদের খাদ্য, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য ব্যবস্থা দেখার জন্য একজন মন্ত্রীও নিযুক্ত হল না।