

*অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন, ঠিক সেইসময় কলকাতাতেও ধুমধাম করে ভগবান রামের পুজোর আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। দক্ষিণ কলকাতার অর্ফানগঞ্জ রোডে রামমন্দিরেই রাকেশ ভগবান রামের পুজোর আয়োজন করেছিলেন। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে সব বয়সি মিলিয়ে এখানে প্রায় কয়েকশো জমায়েত হয়েছিল। তাতেই লকডাউনের বিধি ভঙ্গ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পুলিশের। সেই অভিযোগে বিজেপি নেতারা রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হল ওয়াটগঞ্জ থানা।


*বুধবার আলিপুর আদালত রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার আবেদন জানায় পুলিশ। লকডাউনে সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগ রাকেশের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।


*বিজেপি নেতা রাকেশের আয়োজিত ভগবান রামের পুজো এদিন কলকাতার অন্যতম আকর্ষণ ছিল। কারণ, এখানে মূর্তির রাম নয়, দশ বছরের এক কিশোরকে ভগবান রাম সাজিয়ে পুজো করা হয়েছে। সমবয়সী এক বালিকাকে সীতা ও অন্য এক কিশোরকে হনুমান সাজিয়ে পুজো করা হয়েছে। জলজ্যান্ত রাম-সীতাকে দেখার আকর্ষনেই বহু মানুষ এসেছিলেন এই পুজো দেখতে। ছিল কচিকাঁচারাও। তাতেই লকডাউন মানা হয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের।


*যদিও পুজোর আয়োজকদের বক্তব্য, সমস্ত রকম সুরক্ষা বিধি মেনেই সেখানে পুজো করা হয়েছে। পুজো দেখতে আসা কচিকাঁচা থেকে শুরু করে প্রত্যেকের মুখে ছিল মাস্ক। মানা হয়েছে সামাজিক দূরত্বও।


*অযোধ্যায় রাম মন্দির শিলান্যাস হওয়ার পরই অর্ফানগঞ্জ রোডের মন্দিরে আতশবাজি পুড়িয়ে আনন্দ উদযাপন করা হয়। ভক্তরা মিলে গানের তালে নাচেও সামিল হন। সেখানে অবশ্য সামাজিক দূরত্বের বালাই ছিল না। বিজেপি নেতা রাকেশ বলেন, "৫০০ বছর পর আজ হিন্দুদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। সেজন্য আজ প্রত্যেক হিন্দুর কাছে আনন্দের দিন। এই দিনটিকে স্মরণ করে রাখতেই এই আয়োজন।"


*রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজু নিয়ে পুলিশের আবেদন প্রসঙ্গে তাঁর এক অনুগামী বলেন, "এটা নতুন কিছু নয়। দাদার বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ। সরকার এটা করেই থাকে। বিজেপি কিছু করলেই মামলা করা এখন পুলিশের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।" পুলিশ সূত্রে খবর, আজ বৃহস্পতিবার রাকেশের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা। আদালত অনুমতি দিলেই রাকেশের বিরুদ্ধে লকডাউন অমান্য করার অভিযোগে মামলা রুজু করা হবে।