

জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে জল্পনা যেন কিছুতেই কমার নয়৷ এবার বিজেপি-র সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীনই কলকাতার একটি হোটেলে হাজির হলেন আসানসোলের তৃণমূল নেতা৷ যা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে৷


সোমবার কলকাতার একটি হোটেলে বিজেপি-র সাংগঠনিক বৈঠক ছিল৷ সেখানে হাজির ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় সহ রাজ্য বিজেপি-র শীর্ষ নেতারা৷ হঠাৎই ওই হোটেল থেকে বেরোতে দেখা যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে৷


জিতেন্দ্র তিওয়ারির অবশ্য দাবি, বিজেপি-র বৈঠক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না৷ স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে ওই হোটেলে খাওয়া দাওয়া সারতে এসেছিলেন তিনি৷


আসানসোলের তৃণমূল নেতার আরও দাবি, কলকাতায় তিনি এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য৷ তার পর পরিবারকে নিয়ে ওই হোটেলে যান তিনি৷


জিতেন্দ্র বলেন, 'অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বললেন ভাল করে দলের কাজ করতে৷ কোনও সমস্যা থাকলে সেটা প্রকাশ্যে না বলে দলের মধ্যে বললেই ভাল হত বলেও বলেন উনি৷'


আসানসোলের তৃণমূল নেতা আরও বলেন, 'দলের হয়ে আমি আমার সবটুকু দেব৷ পশ্চিম বর্ধমানের ৯টি বিধানসভা আসনেই দলকে জেতানোর চেষ্টা করব৷ এই হোটেলে যে বিজেপি-র মিটিং হচ্ছে আমি জানতাম না৷ আর আমার এতটা খারাপ সময় আসেনি যে স্ত্রী- মেয়েকে নিয়ে বিজেপি-র বৈঠকে কথা বলতে আসব৷'


কয়েকদিন আগেই দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ আসানসোলের পুর প্রশাসক এবং জেলা সভাপতির পদও ছাড়েন তিনি৷ এর পর কলকাতায় এসে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলার পর সিদ্ধান্ত বদলান জিতেন্দ্র, দলেই থেকে যান তিনি৷ তার পরেও অবশ্য জিতেন্দ্রকে পুরোন পদে ফেরায়নি শাসক দল৷


তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির সময় জিতেন্দ্ররও বিজেপি-তে যোগদানের জল্পনা সৃষ্টি হয়৷ যদিও তা নিয়ে বিজেপি নেতাদের একাংশই প্রকাশ্যে আপত্তি জানান৷ সোমবারের ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'অনেকেই জানতে চাইছেন আমার সঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারির দেখা বা কথা হয়েছে কি না৷ জিতেন্দ্র তিওয়ারি ওই হোটেলে এসেছিলেন আমি জানতাম না, আর জানলেও কথা বলার প্রশ্ন ওঠে না৷'