

▪️জনতা কারফিউয়ের দিন থেকে প্ল্যাটফর্মে পা পড়েনি যাত্রীদের। রেলের কর্মীদের নিয়ে আসা যাওয়ার জন্য স্টাফ স্পেশাল চলছে৷ আর মাঝে মধ্যেই চলছে পণ্যবাহী স্পেশাল ট্রেন। যদিও হাওড়া স্টেশনে শুধু মাত্র স্টাফ স্পেশালই চলাচল করেছে। প্রায় দেড় মাস পরে সেই হাওড়া স্টেশনেই ফের শোনা গেল, অনুগ্রহ করে শুনবেন।


▪️যাত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলা সেই পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম ফের কাজ করা শুরু করেছে। যদিও বড় ঘড়ির নিচে সেই জমাটি ভিড়, এমারজেন্সি কাউন্টারে ট্রেনের খোঁজ নেওয়া বা টিকিট কাউন্টারে লম্বা ভিড় চোখে পড়ল না। তবু বহুদিন বাদে হাওড়া স্টেশনে যাত্রী আনাগোনা হওয়ায় খুশি রেলের আধিকারিকরা। আজমের, কেরলের এর্নাকুলমের পর, এ বার তামিলনাড়ুর ভেলোরে আটকে থাকাদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন ঢুকছে রাজ্যে।


▪️মঙ্গলবার দুপুরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছচ্ছে ট্রেনটি। ভেলোরে অনেকে চিকিৎসার প্রয়োজনে গিয়েও আটকে পড়েছিলেন। আটকে ছিলেন অনেক পড়ুয়াও। একই সঙ্গে তাঁরাও আসছেন ওই ট্রেনে।গত ২২ মার্চ থেকে হাওড়া স্টেশনে যাত্রিবাহী কোনও ট্রেনই যাতায়াত করেনি। তারপরেই দেশ জুড়ে সার্বিক লকডাউন ঘোষণা হয়। তার পর, এই প্রথম ভিন রাজ্যে আটকে পড়াদের নিয়ে হাওড়া স্টেশনে যাত্রীবাহী বিশেষ ট্রেন।


▪️একইদিনে দিল্লির উদ্দেশ্য সেই হাওড়া থেকেই পরিচালিত হল এসি স্পেশাল ট্রেন। ফলে আসা যাওয়া মিলিয়ে ব্যস্ত থাকল হাওড়া স্টেশন। বেলা দেড়টা নাগাদ প্রায় ১২০০ যাত্রী নিয়ে পৌঁছনোর কথা রয়েছে। অন্য দিকে তাঁর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই বিকেলের দিকে আর একটি ট্রেন হাওড়া স্টেশন থেকে যাত্রীদের নিয়ে যাবে নয়াদিল্লির উদ্দেশে। ফলে এই অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’টি ট্রেনের যাত্রীদের শারীরিক পরীক্ষা, ট্রাফিক ব্যবস্থা সহ নানা বিষয় নিয়ে সকাল থেকেই ব্যস্ত থাকল রেল এবং রাজ্য।


▪️ভেলোর থেকে হাওড়ায় ট্রেন পৌঁছনোর পর যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করা হবে। যাত্রীদের তদারকির দায়িত্বে থাকবেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য এবং পুলিশ কমিশনার কুণাল আগরওয়াল। শারীরিক পরীক্ষায় পাস করার পর সবাইকে যাঁর যাঁর জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। রাজ্য পরিবহণ নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাজেনবীর সিংহ কপূর থাকছেন ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের বাসে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া দায়িত্বে।


▪️পরিবহণ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে বাস তৈরি রাখা হয়েছে দুই ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, নদিয়া, কলকাতা, বাঁকুড়া, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, দার্জিলিং এবং মালদহ জেলার জন্য। রেল পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশি রেলের আধিকারিকরা। সকাল থেকেই তাই সরগরম সদা ব্যস্ত হাওড়া স্টেশন চত্বর। প্রত্যেকেই চাইছেন সমস্ত বাধা দুরে সরিয়ে ফের সচল হয়ে উঠুক হাওড়া স্টেশন।।