

বঙ্গরাজনীতিতে অনেক নতুন ট্রেন্ডের জন্ম দিয়েছে বিজেপি। এ কথা অতিনিন্দুকও অস্বীকার করবে না। তার মধ্যে অন্যতম হল লাঞ্চপলিটিক্স। মাটির মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর দিল্লি থেকে বিজেপি নেতারা সাধারণত দুপুরের খাবারটা কোনও প্রান্তিক মানুষের বাড়িতে সারছেন, শিরোনাম হতেও দেরি হচ্ছে না, লাঞ্চ পলিটিক্স নিয়ে টিপ্পনীও কাটছে প্রতিপক্ষ। রাত পোহালেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ, স্বাভাবিক ভাবেই এবারেও প্রশ্ন, কোথায় থাকবেন, কী খাবেন। এবার পাত পড়বে অনন্ত মহাাজের বাড়িতে।


আগামিকাল শাহ আসছেন অসম হয়ে কোচবিহার, মতুয়াগড় ঠাকুরনগরেো সভা আছে তাঁর। এতদিন আদিবাসী ঘরে, বাউল দ্বারে পাত পড়েছে অমিত শাহর। এবার পাখির চোখ রাজবংশী ভোট, তাই শাহ প্রথমেই যাচ্ছেন রাজবংশীয় ধর্মগুরু অন্তত মহারাজের বাড়ি। গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোশিয়েশানের নেতা অনন্ত রায় কোচবিহারের স্বঘোষিত মহারাজা রাজা। থাকেন কোচবিহার লাগোয়া চিরাং জেলায়। রাজনৈতিক মহলের কথায়, কোচ রাজবংশী মিলিয়ে ১৮ লক্ষ মানুষ রয়েছেন অনন্ত রায়ের সঙ্গে। প্রাতরাশ থেকে মধ্যাহ্নভোজ সেখানেই সারবেন তিনি। মাঝে সেরে নেবেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব এবার এসে পড়েছে অনন্ত পত্নী সাবিত্রী রাইয়ের ওপর। শুরু হয়ে গিয়েছে তোরজোর, একেবারে চালু রাজবংশী খাবারই খাবেন শাহ। সকালে শাহের পাতে উঠবে চালের পিঠে এবং নারকোলের লাড্ডু।


বেলা গড়ালে মধ্যাহ্নভোজও ছিমছাম। ভাত, ডাল, পটলভাজা, পনির, চাটনি, দই মিষ্টি খাবেন অমিত শাহ। সেখান থেকে সোজা ঠাকুরনগর।