

*ফুটপাথের দোকান বা মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে যাদের পেট চলে, লকডাউনে তারা চরম অসহায়। কার্যত ভুখা পেটেই দিন কাটছে তাদের।


*রাস্তার ধারের সেই সমস্ত কুকুর-বিড়ালের কথাই বলা হচ্ছে যারা দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে চরম অসহায়। শহরের রাস্তার সমস্ত দোকান বন্ধ। কেউ খাবার দেওয়ার নেই। ফলে কার্যত অনাহারে দিন রাত কাটছে সারমেয়গনের। কিন্তু তাদের সেই অসহায়তার কথা ভেবেছে রাজ্যের বন দফতর। মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সারমেয় বাহিনীর কথা ভেবে নিজে এবং দফতরের সমস্ত কর্মী অফিসারদের নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের কোথাও কুকুর বা বিড়াল যেন অনাহারে না থাকে। তাদের পেটভরে খাওয়ানোর কর্মসূচি নিয়েছে বন দফতর।


*শনিবার কলকাতার গড়িয়াহাটে বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করলেন শহরের সারমেয়দের অনাহার থেকে মুক্তি দেওয়ার সেই উদ্যোগ। এদিন দুপুরে বনদফতরের বিশেষ গাড়িতে করে ওদের জন্য নিয়ে আসা হয় খাবার। মন্ত্রী নিজে হাতে ফুটপাতে হেঁটে সেই খাবার বিলি করেন কুকুর-বিড়ালদের।


*এদিন তাদের খাবারের মেনু ছিল ভাত, ডাল, খিচুড়ি আর মুরগীর মাংস। এর পাশাপাশি মেনুতে রাখা হয়েছিল বিস্কুট এবং পাউরুটি। শালপাতার থালায় খাওয়ানো হয় তাদের। কলকাতার গড়িয়াহাট, পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জের ফুটপাথ ধরে হেঁটে সেই খাবার নিজে হাতে বিলি করলেন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর দফতরের অফিসারেরা।


*মন্ত্রী বলেন, "এই লকডাউনে আমরা যেমন ফুটপাতবাসীদের ত্রাণ বিলি করছি। তেমনই এই পথের কুকুর, বিড়ালদের খাবারের বন্দোবস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু কলকাতা নয় রাজ্যের সব প্রান্তেই এই কর্মসূচি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"


*এদিন গড়িয়াহাট উড়ালপুলের নিচ থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। ওই এলাকার বিভিন্ন সরকারি কমপ্লেক্স, ফুটপাথ, বাজার ঘুরে খাবার বিলি করা হয়। শালপাতার থালায় খাবার বেড়ে দেওয়া হয় কুকুর-বিড়ালদের। বনদফতরের তরফে এই কর্মসূচি গোটা লকডাউন পর্বেই চলবে বলে জানানো হয়েছে।