

আনলক পর্বে আগের থেকে অনেকটাই সচল হয়েছে জনজীবন। কিন্তু লোকাল ট্রেন কেন চলছে না, এই নিয়ে গলা চড়াচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। তাদের ভোগান্তির কথা ভেবে কেন্দ্রকে চিঠি দেন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত। লোকাল ট্রেন চালাতে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।


এবার সম্ভবত তাঁদের দাবিতেই শিলমোহর পড়তে চলেছে। লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে গ্রিন সিগন্যাল দিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র, বিধিনিষেধ স্থির করতে হবে ভিডিও কনফারেন্স।


দূর মফস্সল থেকে কলকাতা শহরে কাজ করতে আসা নিত্যযাত্রীরা এই সিদ্ধান্তে খুশি হলেও প্রমাদ গুনছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা স্পষ্টই বলছেন পুজো উপলক্ষ্যে পথে নামা আর লোকাল ট্রেনে ভিড় বাড়ানো ডেকে আনতে পারে করোনা সুনামি। ফাইল চিত্র


দিন কয়েক আগেই নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল ডক্টরস ফোরাম। সংস্থার তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, রাজ্যে পুজোর ভিড় আটকাতে না পারলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।


কিন্তু তারপরেও দেখা গিয়েছে সপ্তাহান্তে হাজার হাজার লোক শপিংয়ের আছিলায় ভিড় জমাচ্ছে নিউ মার্কেট চত্বরে। প্রতিদিন লোক বাড়ছে মেট্রোতেও। এই পরিস্থিতিতে ট্রেন চালানো হলে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সেক্ষেত্রে ওনাম-পরবর্তী কেরালার চেহারা নিতে পারে বাংলা অচিরেই, এমনটাই ভয় চিকিৎসকদের।