*উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত কত? তা জানার জন্য রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিশেষ সার্ভে। সেই সার্ভে রিপোর্টে রাজ্যে স্বস্তি। তাতে দেখা গিয়েছে, কমেছে পজিটিভিটি রেট। অনেক জেলাতেই পজিটিভিটি রেট 'শূন্য'। কলকাতাতেও পজিটিভিটি রেট 'শূন্য'। এই সার্ভে থেকেই পরিষ্কার রাজ্যে উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত সংখ্যা ক্রমশ কমছে। প্রতিবেদন: সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতীকী ছবি।
*রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এই সমীক্ষা মূলত রাজ্যের ২৮ টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা জুড়ে করেছে। এই জেলা এবং স্বাস্থ্য জেলাগুলির একটি করে নির্দিষ্ট হাসপাতলে টেস্ট করা হয়েছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রথম রাউন্ডের সমীক্ষা হয় ২৭-২৯ সে এপ্রিল। সেই সমীক্ষাতে মোট ১০,৭১০ জনের টেস্ট হয়। তাতে দেখা যায় মোট ১৯ জন পজেটিভ। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে পজিটিভিটি রেট ০.১৮ শতাংশ। প্রতিবেদন: সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতীকী ছবি।
*অন্যদিকে, দ্বিতীয় রাউন্ডের সমীক্ষা করা হয় ১৮-২০ মে পর্যন্ত। সেই সমীক্ষায় ১০,৯৭৫ জনের উপর টেস্ট করা হয়। যেখানে পজিটিভ আসেন ১৯ জন। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে পজিটিভিটি রেট ০.১৭ শতাংশ। দ্বিতীয় রাউন্ডে জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে মোট ২৬ জেলাতে পজিটিভিটি রেট আসে শূন্য থেকে ০.৫ শতাংশ পর্যন্ত। প্রতীকী ছবি।
*এই সার্ভে রিপোর্ট কলকাতা-সহ একাধিক জেলার কাছে স্বস্তি এনে দিয়েছে। কলকাতাতে পজিটিভিটি রেট 'শূন্য' দেখা গেছে। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তরদিনাজপুর, বীরভূমের মতো জেলাগুলিতেও পজিটিভিটি রেট 'শূন্য'। রিপোর্টে পরিষ্কার শুধুমাত্র কলকাতা নয়, জেলাতেও উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নেই বললেই চলে। প্রতিবেদন: সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতীকী ছবি।
*ভাইরোলজিস্ট চিকিৎসক সুমন পোদ্দার বলেন, "সামগ্রিকভাবে এটা রাজ্যের কাছে স্বস্তির। কিন্তু ইমিউনিটি পাওয়ারের ওপর নির্ভর করবে চতুর্থ ঢেউ আসবে কি আসবে না।" এই সার্ভে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর পাঠিয়েছে জেলায় জেলায়। মূলত পর্যালোচনা করার জন্যই পাঠানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। প্রতীকী ছবি।