

কালোজিরে কুচকুচে কালো হলে তার চাহিদা অনেক বেশি। উপরন্তু দামটা,অনেক কম।সেই কুচকুচে কালো জিরে বড়বাজারের মত পাইকারি বাজারে প্রতিদিন ট্রাকের পর ট্রাক বিক্রি হচ্ছে।যার পাইকারি দর ১৫০ টাকা কেজি।এই কালো জিরেকে বলা হয়,পালিশ করা কালো জিরে।Photo- Representative


আর একটা আছে কোরা জিরে,অর্থাৎ রং ছাড়া।তার দাম পাইকারি দরে ১৭৫ টাকা কেজি।এই জিরে যেহেতু চকচকে নয়, দাম বেশি।তাই কেউ কিনতে পছন্দ করে না। পালিশ করা কালো জিরে মানে হল - পোড়া মোবিল ও কালো রং দিয়ে, রং করে প্রস্তুত হয়। সঙ্গে বালি ও সিমেন্ট মিশিয়ে ছোট ছিদ্রের জালে চালিয়ে, তা শুকনো করে,ওই সব মিশিয়ে কালো করে জিরের সঙ্গে মিশিয়ে ,আয়তন ও ওজনে বৃদ্ধি করা হয়।


এই ভাবে নদিয়ার চাপড়া,পশ্চিম মেদিনপুরের ও ঝাড়গ্রামের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন এই অসাধু কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। নিউজ১৮ বাংলা বড়বাজারের পোস্তা এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে যায়। মধু বাবুর গোডাউন,সেখানের কর্মী প্রথমেই জানিয়ে দেয়,তাদের কাছে কালো জিরে নেই।অবশেষে দোতলায় গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে সব বলে ফেলে।পালিশ করা বস্তা বস্তা কালো জিরের খোঁজ পাই। Photo- Representative


সাহা ট্রেডার্স এর খোঁজে টি এন টেগোর লেনে যায় নিউজ ১৮ বাংলা।সেখানে প্রথমে মালিকের ছেলেকে পাওয়া যায়৷ চমকে যান মালিক পুত্র।তবে ওই দোকান খুঁজে পেতে খুব কষ্ট হয় নি।কারণ,রাস্তায় পড়ে থাকা কালো জিরে চিনিয়ে দেয় ওই দোকান।ওখানে গিয়ে দেখা যায় ,পালিশ করা তিন বস্তা কালো জিরে রয়েছে।যদিও এটা এদের কাছে নমুনা দেখানোর জন্য থাকে। Photo- Representative


সাহা ট্রেডার্সের মালিক চন্দন সাহা খবর পেয়েই চলে আসেন।উনি ভেবেছিলেন আমাদের ক্যামেরা চালু নেই।তাই আমাদের সামনে গড় গড় করে সব তথ্য বলে দেন।পুলিশ, এই মবিল পালিশ করা কালো জিরে সম্বন্ধে সব জানে।ওনার মাসতুতো ভাই ,বেলেঘাটা সেল ট্যাক্সে অফিসার সাহা বাবু,তিনিও সব জানেন।Photo- Representative


কখন কোথা থেকে , কালো জিরে তৈরি হয়ে আসে,কখন আসে? কোন কোন বড়ো বড়ো পার্টি কোটি কোটি টাকার এই ব্যবসা করছে,সব জানান।অবশেষে তিনি জানান,এই কালো জিরে ব্যবসা আর করবেন না। জাল কালো জিরে বানাতে গিয়ে যা যা মারণ দ্রব্য ব্যবহার করছে, তা মানব শরীরের পক্ষে খুব ভয়ংকর।'এতে টাইপ ২ কারসিনোজেন আছে,যা ক্যান্সার হতে সাহায্য করে।এছাড়া নার্ভাস সিস্টেমে প্রভাব ফেলে ' - বক্তব্য অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস। Input-SHANKU SANTRA