

একজন সদ্য আজই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন৷ অন্যজন দিন কয়েক আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন৷ প্রথম জন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং দ্বিতীয় জন লক্ষ্মীরতন শুক্ল৷ এবার দু জনকে একসঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা আরও উস্কে দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য৷ যদিও বিজেপি নেতার এই ইঙ্গিত নিছকই তৃণমূলের উপরে চাপ বাড়ানোর কৌশল কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই৷


শমীক ভটাচার্য এ দিন বলেন, 'আমি তো জানি লক্ষ্মী অলরাউন্ডার৷ হয়তো লক্ষ্মীর তৃণমূলের পিচে ব্যাট করতে অসুবিধে হচ্ছে৷ এবার ভবিষ্যতে লক্ষ্মী তৃণমূলের হয়ে ব্যাট করবে, নাকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বল করবে, তা সময়ই বলবে৷'


এখানেই না থেমে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়েও জল্পনা উস্কে দেন৷ তিনি বলেন, 'আমি তো এটাও শুনছি বিশ্রামের পর্বটা কেটে যাওয়ার পর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর লক্ষ্মীরতন শুক্ল একই নেটে প্র্যাক্টিস শুরু করবেন৷' রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, কোথায় নেট প্র্যাক্টিসের কথা বললেন বিজেপি নেতা? ক্রিকেট নাকি রাজনীতির ময়দানে?


সৌরভের বিজেপি-তে যোগদান নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা ছড়িয়েছে৷ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এমনও অভিযোগ ওঠে, রাজনীতিতে নামার চাপের ধকলই সৌরভের অসুস্থতার অন্যতম কারণ৷ আবার যেভাবে নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অমিত শাহ নিয়মিত সৌরভের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন, তাও কারও নজর এড়ায়নি৷ সৌরভ অবশ্য এ দিন হাসপাতাল ছাড়ার সময় বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর উপরে কোনও চাপ ছিল না৷


অন্যদিকে লক্ষ্মীরতন শুক্ল এ দিন জানিয়েছেন, রাজনীতি থেকে আপাতত অব্যাহতি নিচ্ছেন তিনি৷ তবে রাজনীতির ইনিংস পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করলেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সতীর্থ৷ ফলে তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ঘিরেধোঁয়াশা পুরোপুরি কাটেনি৷