কোথাও এক ফুট তো কোথাও মানুষ সমান চওড়া গর্ত, কাদাজল-খানা-খন্দে ভরা যশোর রোড গ্রামের রাস্তার থেকেও বেহাল
এয়ারপোর্ট তিন নম্বর পেরোলেই রাস্তার চারিদিকে খানাখন্দ,গর্তে ভরা। শুধু তাই নয় রাস্তার কোথাও কোথাও এক ফুট থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গর্ত হয়ে গিয়েছে।


এয়ারপোর্ট পেরোলেই যেন মনে হবে গ্রামের রাস্তাকেও হার মানিয়েছে। রাস্তা দেখে অবশ্য মনে হবে না যে এটা পিচের রাস্তা। যদিও এই রাস্তা দিয়েই পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে। আবার কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যোগাযোগ রাখার জন্য এই যশোর রোড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই রাস্তারই কার্যত কঙ্কালসার দশা। তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়


এয়ারপোর্ট পেরোলেই আসে বিরাটি মোড়। কিন্তু সেই বিরাটি মোড় যেতেই হিমশিম খেয়ে যেতে হবে বাইক বা গাড়িচালকদের। কারণ এয়ারপোর্ট তিন নম্বর পেরোলেই রাস্তার চারিদিকে খানাখন্দ,গর্তে ভরা। শুধু তাই নয় রাস্তার কোথাও কোথাও এক ফুট থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গর্ত হয়ে গেছে। তবে যশোর রোডের এই বেহাল অবস্থা শুধু বিরাটি পর্যন্তই নয় এয়ারপোর্ট থেকে সোজা বারাসাত যেতে গেলে এমনই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে। তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়


বর্তমানে এই রাস্তার মেরামতি বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে রাজ্য পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা জাতীয় সড়ক ডিভিশন কর্তৃপক্ষ। এয়ারপোর্ট থেকে বারাসাত বারাসাত পর্যন্ত যশোর রোডের এই বেহাল দশা নিয়ে অবশ্য পূর্ত দপ্তরের অধীনে জাতীয় সড়ক ডিভিশন কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা "মাঝেমধ্যেই তারা সারাইয়ের কাজ করছেন। কিন্তু বর্ষা না যাওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি ভাবে কাজ সম্ভব নয়।" তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়


এয়ারপোর্ট থেকে যশোর রোড ধরে এগোলে বিরাটি,মধ্যমগ্রাম এবং তারপরে মধ্যমগ্রাম থেকে বারাসাত যাওয়ার রাস্তা বেহাল দশা উঠে এসেছে। বিরাটি মোড় এর আগেই যশোর রোডের দুধারে মাঝখান বরাবর একাধিক গর্ত,খানা-খন্দ। বিরাটি মোড় পেরোলে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা যাবার মুখেই আবার ১ ফুট কোথাও কোথাও দেড় ফুট সমান গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তার এই কঙ্কালসার জেরে এয়ারপোর্ট থেকে বারাসাত যাওয়ার জন্য যানজট হচ্ছে ব্যাপকভাবে। বিরাটির এক বাসিন্দা বলেন " বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা এই ভাবে ভেঙে যায়। তার জেরে এয়ারপোর্ট থেকে বিরাটি আসতেই সময় লাগছে অফিস টাইমে ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট। মাঝেমধ্যেই বাইকের দুর্ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে।" তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়


মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে অবশ্য বারাসাত ডাকবাংলো মোড় পর্যন্ত যশোর রোডের আরো বেহাল দশা। কিছুদূর যেতে না যেতেই রাস্তার দু'ধারে গর্ত-খানাখন্দে ভরা। কোন কোন জায়গায় আবার রাস্তার পুরো অংশ জুড়েই কার্যত খানাখন্দ গর্তেই একাকার হয়ে গেছে। যার জেরে বাস চার চাকার গাড়ির গতি রীতিমতো ধীরগতিতে যাতায়াত করছে। রাত নটার পর থেকে এই যশোরের ধরে একাধিক পণ্যবাহী লরি পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হলেও এই রাস্তা সারাই এর দিকে বা মেরামতির দিকে কারোর কোন নজর নেই। তথ্য ও ছবি- সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়