

স্বপ্ন পুড়ে ছাই। ছাই উড়িয়ে আপাতত খোঁজ চলছে অবশিষ্টটুকু খোঁজার। কেউ আবার আধপোড়া গয়নার বাক্স খুলে দেখছেন সঞ্চিত সোনাদানাক কিছু বেঁচে আছে কিনা। কেউ আবার বাক্সপ্যাটরা খুলে কেউ খুঁজছেন সার্টিফিকেট।


ঘরবাড়ি পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে। পড়ে রয়েছে শুধু কাঠামোটুকুই। সব হারানো মানুষগুলির মূল মাথাব্যথা হারানো নথির কী হবে। তা খুঁজতেই এদিন সেই ধ্বংসস্তুপ হাতড়াতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


বুধবার রাতেই ফিরহাদ হাকিমের তত্ত্বাবধানে বাগবাজাররের এই বস্তিবাসীদের অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা হয় বাগবাজার ওম্যান্স কলেজে।


ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দেন, প্রত্যেকেই পুনর্বাসন পাবে স্ব-স্ব জায়গায়। পুরসভার কর্মীরা আগামীকাল মাপজোপ করে কার কতটা জায়গা তার হিসেব করবেন। আজকে ফায়ার ব্রিগেডের আধিকারিকরা আসবেন আগুন লাগার কারণ খুঁটিয়ে দেখতে। আসবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও।


এদিন সকালে বাগবাজার পৌঁছে দেখা গেল, আপাতত সর্বস্ব হারানো নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে প্রশাসনই। লম্বা লাইন দিয়ে বস্তিবাসীরা সেই সকালের খাবার নিচ্ছেন।সকালে ডিম পাউরুটি কলা ও বাচ্চাদের জন্য দুধ। মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাতেও খাবারের ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসনই। হয়তো আবার বাড়ি ফিরবেন ওঁরা, তবে সোনার সংসারটুকু আর ফিরবে না, চোখের জলে ভাসতে ভাসতে বলছেন এক কাপড়ে সব ছেড়ে আসা মানুষগুলি।