বৃষ্টিতে প্রাণ যায় যায়! খাস কলকাতায় রাস্তা যেন জলাশয়...
বাইক ও সাইকেলে যে আরোহীরা আসছেন তাদের অবস্থা আরও করুণ। একদিকে অটো ও প্রাইভেটকার এবং বাস্তু রয়েছেই রাক্ষসের মত আসছে ট্রাক-লরি কখন যে কি চাপা পড়ে যান সেই আতঙ্কে ভুগছেন বাইক থেকে স্কুটি এমনকি সাইকেলের আরোহীরা।


▪️খানাখন্দে বেহাল অবস্থা খাস কলকাতার রাস্তা। এতদিন ধরে জেলার বিভিন্ন রাস্তা এমনকি জাতীয় সড়ক নিয়ে বারবার অভিযোগ উঠেছিল। এবার কলকাতা শহরে একের পর এক বেহাল রাস্তার ছবি। কোথাও পিচ ও পাথর উঠে গিয়ে কঙ্কালসার চেহারা রাস্তার। আবার কোথাও খানাখন্দে বৃষ্টির জল ভরে রাস্তা যেন জলাশয়।


▪️দক্ষিণ কলকাতার সঙ্গে শহরতলীর যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা তারাতলা মেনরোড। বজ বজ মহেশতলা মেটিয়াবুরুজ থেকে হাইড রোড হয়ে বা জিনজিরা বাজার হয়ে তারাতলা জংশনে আসার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এই তারাতলা রোড। বেশ কয়েকটি জায়গায় তারাতলা রোড কার্যত জলাশয় পরিণত হয়েছে গত দুদিনের বৃষ্টিতে। এমনিতেই খানাখন্দে ভর্তি ছিল তারাতলা মেনরোড। বছর খানেক আগেই মেরামতের কাজে হাত দেওয়া হয়েছিল। মেরামতি হলেও জায়গায় জায়গায় বেহালদশা তারাতলা মেনরোড এর।


▪️মহেশতলা থেকে রোগী নিয়ে অটোতে করে কলকাতা যাচ্ছিলেন সমর চট্টোপাধ্যায়। মিডিয়া দেখে ক্ষোভ উগরে দিলেন অটোচালক।বললেন কোটি কোটি টাকা দিয়ে মেরামতি করা হচ্ছে রাস্তা আর বছর না ঘুরতেই আবারো সেই বেহাল দশা। গাড়ির যন্ত্রাংশ ক্ষতি হচ্ছে এইতো দেখুন রোগী নিয়ে যাচ্ছি রোগীর অবস্থা সঙ্গীন হয়ে পড়ছে।সব থেকে বড় কথা যখন তখন উল্টে যেতে পারে এই খানাখন্দে পড়ে ।কোথায় কতটা গর্ত আছে সেটাও বুঝতে পারছিনা জল থাকায়।


▪️বাইক ও সাইকেলে যে আরোহীরা আসছেন তাদের অবস্থা আরও করুণ। একদিকে অটো ও প্রাইভেটকার এবং বাস্তু রয়েছেই রাক্ষসের মত আসছে ট্রাক-লরি কখন যে কি চাপা পড়ে যান সেই আতঙ্কে ভুগছেন বাইক থেকে স্কুটি এমনকি সাইকেলের আরোহীরা। সাইকেল-আরোহী মনোজ দাস অভিযোগ করেন, প্রতিবছর কেন বর্ষার সময় এই রাস্তা সরাতে হয়?? সারাবছর কি ঘুমিয়ে থাকে প্রশাসন।


▪️তারাতলা মেনরোডের মতন বেহাল অবস্থা তারাতলা জংশন-এর। একদিকে মাঝেরহাট ব্রিজের জন্য ট্রাফিকের চাপ রয়েছে তারাতলা জংশনে। তারাতলা মোড়ের একদিকে রয়েছে নিউ আলিপুর অন্যদিকে ঠাকুরপুকুর জোকায় ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার রাস্তা আরেকদিকে মহেশতলা বজ বজ মেটিয়াব্রুজ যাওয়ার রাস্তা কোন দিকে মাঝেরহাট ব্রিজ।


▪️জোকা মেট্রো কাজের ধরন তারাতলা মোড়ের কাছেই রাস্তার বেহাল দশা মেরামতের কাজে হাত দিলেও লকডাউন ও বর্ষার জন্য এখনো সম্পন্ন হয়নি রাস্তা মেরামতের কাজ।সেই কারণে বড় বড় গর্ত হয়ে এখন বর্ষার জলে সেই গর্ত বুজে আরো বিপজ্জনক হচ্ছে রাস্তার অবস্থা। তারাতলা বোনের কাছে সব রাস্তাতেই পিচ উঠে গেছে জায়গায় জায়গায় গর্ত রয়েছে ইতস্তত ছড়িয়ে পিচ আলগা হওয়া উঠে যাচ্ছে রাস্তা থেকে।


▪️জোকা থেকে কবরডাঙ্গা হয়ে টালিগঞ্জ যাওয়ার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা মহাত্মা গান্ধী রোড।এই রাস্তার উপর রয়েছে ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল এর মত চিকিৎসা কেন্দ্র। ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের অংশে বিপজ্জনক ভাবে রাস্তায় গর্ত তাতে জল জমে ভয়ানক অবস্থা। এখানে প্রাণ হাতে করে রাস্তায় নিত্য পথ চলছেন বাসিন্দারা। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না থাকায় ফিবছর জোড়া তাপী দেওয়ায় রাস্তা উঁচু হচ্ছে কিন্তু বছর না ঘুরতেই রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা রাজু সাউ এর।


▪️বাসিন্দাদের অভিযোগের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য।তিনি বলেন কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে এই রাস্তার মেরামতির কাজ শুরু করা হয়েছিল তবে লকডাউন ও গত কয়েক দিনের বৃষ্টির জেরে থমকে আছে। বৃষ্টি কমলেই রাস্তা মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে।


▪️কলকাতা পৌরসভার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, প্রথমে লকডাউন ও পরে বর্ষার বৃষ্টির জন্য রাস্তার মেরামতির কাজ শুরু করে অনেক জায়গায় শেষ করা যায়নি। গোটা কলকাতা শহরের সাত থেকে আটটি রাস্তা চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে এখনও বেহালদশা রয়েছে । ৭ থেকে ১০ দিনের একটি বৃষ্টি হীন সময় (ড্রাই স্প্যান) পেলেই শহরে এই রাস্তাগুলো মেরামতি করার কাজ শেষ করতে পারবে পুরসভা বলে শহরবাসীকে আশ্বস্ত করেন তিনি৷(Reporter-Biswajit Saha)