

মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে আর মাত্র দু মাস বাকি৷ এমন সময় বেনজিরভাবে নিজের দেশের সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ মার্কিন প্রেসিডেন্টের গুরুতর অভিযোগ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থাগুলির স্বার্থরক্ষা করতেই সবসময় যুদ্ধের জিগিড় তোলে আমেরিকার সেনাবাহিনী৷


কোনওরকম রাখঢাক না করেই ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, 'সাধারণ মার্কিন সেনারা হয়তো আমায় পছন্দ করেন, কিন্তু সেনা কর্তারা সম্ভবত তা করেন না৷ কারণ তাঁরা সবসময়ই যুদ্ধ করতে চান যাতে যে সংস্থাগুলি বোমা, বিমান বানায়, তারা খুশি থাকে!'


একাধিক মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃত করে সিএনএন দাবি করেছে, দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক ক্রমশই অবনতির দিকে যাচ্ছিল৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই বেনজির আক্রমণের পর তা যে আরও খারাপ হবে, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না৷


তবে সোমবার ট্রাম্প যে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছেন, তার ফল যথেষ্ট খারাপ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা৷ট্রাম্প অবশ্য বার বার দাবি করেছেন, তাঁর আমলে সামরিক খাতে বাজেট বরাদ্দ বেড়েছে৷ ফলে তিনি যে সেনার সঙ্গেই আছেন, এটাই তার প্রমাণ বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷


ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অবশ্য অতীতেও মার্কিন সেনার বিরুদ্ধে অপমানসূচক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে৷ The Atlantic ম্যাগাজিনের দাবি অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ সমাপ্তির একশো বছর পূরণ উপলক্ষে ফ্রান্স সফরে গিয়েও নিহত মার্কিন সেনাদের সম্পর্কে অপমানজনক শব্দ প্রয়োগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷Fox News সহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও সেই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়৷ যদিও এই অভিযোগকে মিথ্যে বলেই দাবি করে এসেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজও খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি৷


তবে সোমবার ট্রাম্পের মন্তব্যের পর যে হোয়াইট হাউজের সঙ্গে সেনা সদর দফতর পেন্টাগনের দূরত্ব আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ দেশের প্রাক্তন সেনা কর্তারা বলছেন, ট্রাম্প যা বলেছেন তা শুধু শীর্ষ পদাধিকারীরাই নন, গোটা বাহিনীর পক্ষে অবমাননাকর এবং তাদের মনোবল ভেঙে দিতে বাধ্য৷ যদিও পেন্টাগনের তরফে মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি৷