

•পূর্ণিমায় সাধারণ মানুষ দেরিতে ঘুমোতে যান ও ঘুম হয় কম। পূর্ণিমার আগের দিন প্রায় ৩০ মিনিট দেরিতে শুতে যান অনেকে এবং রাতের ঘুম হয় ৫০ মিনিট কম। এমনই আশ্চর্যজনক তথ্য তুলে ধরেছে এক সমীক্ষা।


•ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক হোরাসিও দি লা লগলেসিয়া, তাঁর এক গবেষণায় এটাই তুলে ধরেছেন যে, চাঁদের অবস্থানের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে ঘুমের। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের একটি যন্ত্র দেওয়া হয়, যা তাঁরা হাতে লাগিয়ে রাখেন। সেই যন্ত্রতে ঘুমের সময় ও হিসেব রাখা হচ্ছিল।


•একটি গোটা প্রদক্ষিণে ২৯.৫ দিন লাগে চাঁদের। পূর্ণিমার দিন যত এগিয়ে আসে, ততই সূর্যাস্তের পর চাঁদের আলো জোড়াল হয়। এরই সঙ্গে পূর্ণিমার আলো রাতে ঝলমল করে। ফলে এই সময় রাতে শিকার করা, বা মাছ ধরতে যেতে পছন্দ করেন অনেকে।


•আর্জেন্টিনার টোবা জাতিদের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। মূলত এদের জীবনধরণ অনেকটা আলাদা। এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছনি এদের ঘরে। তিন ধরণের পরিবারকে এই গবেষণায় নেওয়া হয়েছিল। ১. যাদের বাড়িতে বিজলি নেই, ২. যাদের বাড়িত মাঝামাঝে বিজলি বাতি রয়েছে এবং ৩. যাদের বাড়িতে সবসময় আলো রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক, এরা সকলেই পূর্ণিমার দিনগুলিতো দেরিতে শুতে যায় এবং কম ঘুমোয়ে। এবং আর্শ্চযের বিষয় হল শহুরে মানুষদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি থাকে।


•এবার এদের সঙ্গে ঘুমের তুলনা করা হয় ৪৬৫জন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার সঙ্গে। তাদের সঙ্গে অদ্ভূত মিল রয়েছে গ্রামীণ মানুষদের।