

*র্যাকের ওপর পর পর রাখা সাতটি সবুজ কাপড়ে জড়ানো ছোট্ট দেহ। তারা সবাই সোমবার জন্মেছিল। কিন্তু নার্সরা আন্দোলনে ব্যস্ত থাকায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সবাই। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে জিম্বাবোয়ের হারারারে। সদ্যোজাতদের কাপড় জড়ানো দেহের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। ছবি সংগৃহীত।


*করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সুরক্ষা এবং পিপিই কিটের দাবিতে জিম্বাবোয়েতে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিক্ষোভ চলছে। সোমবারও সেই আন্দোলন চলছিল। তবে তার ফল যে এভাবে হবু মায়েদের ভুগতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। অমানবিক এই ছবি বহু মায়ের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ছবিঃ প্রতীকী।


*গোটা বিষয়টি জানাজানি হয় হারারে সেন্ট্রাল হাসপাতালের একজন ক্লিনিশিয়ান ডক্টর পিটার মাগোম্বেয়ি ট্যুইট করার পর। তিনি শিশুদের মরদেহের ছবির পাশাপাশি তাঁদের জন্মানোর তালিকার একটি ছবি প্রকাশ করেন। সেই তালিকার সকলের মা-বাবার নাম এবং জন্মের সময় উল্লেখ রয়েছে। একইসঙ্গে সাতটি শিশুর মৃত্যুর কারণও সেখানে বলা হয়েছে। ছবিঃ সংগৃহীত।


*জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হারারের হাসপাতালটিতে আটটি শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। তাঁদের মধ্যে একজন সুস্থ। বাকি সকলেই মারা যায়। কিন্তু কেন? পিটার মাগোম্বেয়ি জানিয়েছেন, সেদিন রাতে মাত্র ২ জন চিকিৎসক হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন। কিন্তু আট জনের প্রসব বেদনা ওঠায় ঘটনার সামাল দেওয়া যায়নি। ছবিঃ প্রতীকী।


*এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, স্টাফ এবং নার্সরা আন্দোলন এবং কর্মবিরতিতে থাকায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। তাঁর আক্ষেপ, সকলের সহযোগিতা পেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেত। ছবিঃ প্রতীকী।


*অবস্থা এতটাই ভয়াবহ হয়ে যায়, এক প্রসব বেদনায় কাতরাতে থাকা দুই মায়ের ইউটেরাস ক্ষতবিক্ষত হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের জরুরি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে পড়ে। ছবিঃ প্রতীকী।


*চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালে যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা সহযোগিতা করেননি কোনওভাবে। ফলে প্রসবের পূর্বে মায়ের গর্ভেই আটকে মৃত্যু হয় সাতটি শিশুর। ছবিঃ প্রতীকী।