

*এশিয়াতে বংশবৃদ্ধি অ্যানোফিলিস স্টেফেনসি এখন আফ্রিকার নয়া ত্রাস। নয়া গবেষণা প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমাবস্থায় মহাদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এই মশার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে শহরাঞ্চলে দেখা যেত না। কিন্তু বর্তমানে শহরের অলিতে-গলিতে ছড়িয়ে পড়েছে মশার লার্ভা। ফলে নাগরিকদের মধ্যে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতীকী ছবি।


*নেদারল্যান্ডের Radboud University Medical Centre এবং ইথিওপিয়ার Armauer Hansen Research Institute-র যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, দ্রুত গতিতে ম্যালেরিয়া ছড়িয়ে পরার কারণ ম্যালেরিয়ার জীবাণুবহনকারী ভেক্টর মানুষ এবং পশু উভয়ের শরীরেই রোগের বংশবিস্তার করছে। ফলে কোনভাবেই ভয়াবহতা ঠেকানো যাচ্ছে না। প্রতীকী ছবি।


*গবেষণায় উঠে এসেছে, আগে এশিয়াতে বংশবৃদ্ধি 'অ্যানোফিলিস স্টেফেনসি' মশাটি শুধুমাত্র আফ্রিকা মহাদেশে দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে তা ইথিওপিয়ার বিভিন্ন এলাকাতেও দেখা যাচ্ছে এবং দ্রুত গতিতে বংশবিস্তার করছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আফ্রিকার ৪০০,০০০ মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়েছিল ম্যালেরিয়া। যাদের মধ্যে অধিকাংশ ছিল শিশু। তবে সেক্ষেত্রে তার নেপথ্যে ছিল Anopheles gambiae প্রজাতি মশা। প্রতীকী ছবি।


*জানা গিয়েছে, Anopheles stephensi নামে এশিয়ার বংশোদ্ভূত মশাটি প্রজাতি ইট-সিমেন্ট দিয়ে বানানো জলের ট্যাঙ্কের ফাটল দিয়ে ভেতরে ঢুকে ডিম পারতেও সক্ষম। ফলে দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে তারা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে ৪০,৯০০০ মানুষ ম্যালেরিয়ায় মারা যায়। যার নেপথ্যে ছিল মহিলা অ্যানোফিলিস মশা। প্রতীকী ছবি।


*আফ্রিকার ৪৪ টি শহর বর্তমানে এই মশাদের প্রিয় বাসস্থান। আফ্রিকার মশারা রাতে চারিদিক ঠান্ডা হয়ে আসার পর মানুষকে কামড়ায়। কিন্তু Anopheles stephens সন্ধ্যাবেলায় যখন গরম থাকে সেইসময় কামড়ায়, বলতে গেলে মশারি সেইসময় কোনও কাজেই আসে না। এই মশার থেকে রক্ষা পাওয়ার সঠিক উপায়, শরীর ঢেকে রাখা, ঘরের দেওয়ালে কীটনাশক স্প্রে করা যাতে মশা দেওয়ালে বসলে মরে যায়। প্রতীকী ছবি।