পৃথিবীতে (Earth) প্রাণের স্পন্দন কীভাবে পাওয়া গিয়েছে এই খোঁজ বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে অন্যতম ৷ বিজ্ঞানীরা সৌরমন্ডল থেকে দূর দূরান্তে অবস্থিত গ্রহদের খুঁজতে থাকেন প্রায় সব সময়েই ৷ যেখানে পৃথিবীর সঙ্গে বিভিন্ন অন্যান্য গ্রহদের এক সম্পর্কের ভিত উন্মোচন করার বিষয়েও বিশেষ আগ্রহী হয়ে থাকেন ৷ তবে এরই বিজ্ঞানীরা এক অন্য সাফল্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন ৷ সেটি হল পৃথিবী ছাড়াও এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন ৷ যা সৌরমন্ডলের বাইরে এবং যেখানে প্রাণের স্পন্দন লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ সৌরমন্ডলের প্রণের স্পন্দন জীবনে তুমুল গতি আনতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে ৷ এখন ভূগোলবিদরা এমন এক গ্রহের সন্ধানে যার আকার, ভার, তাপমাত্রা, ও বায়ুমণ্ডলীয় স্থিতি ইত্যাদি ৷ (প্রতীকী ছবি Pixabay) ৷
৯ ধরনের গ্রহের মধ্যে হাইসিন গ্রহ (Hycean) নাম দিয়েছে ৷ এই গ্রহ উষ্ণ হলে মহাসাগরের সঙ্গে ঠেকে থাকে যেই বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন থাকে ৷ গ্রহের সংখ্যা অনেকটাই বেশি থাকে ৷ এের অবলোকন করা সম্ভব হয়ে থাকে ৷ ইলেকট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত আগামী ২ থেক ৩ বছরের মধ্যে সৌরমণ্ডলের বাইরে প্রাণের স্পন্দন খুঁজে পাওয়ার চূড়ান্ত সম্ভাবনা ৷ কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জনপ্রিয় লেখক ডঃ নিক্কু মধুসূদন জানিয়েছেন এই সমস্ত গ্রহে প্রাণের স্পন্দন এক নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করবে ৷ (প্রতীকী ছবি: shutterstock) ৷
হাইসিন পৃথিবীর থেকে অনেক বড় ও অনেক বেশি উষ্ণ গ্রহ ৷ তবুও সেখানে বিশাল মহাসাগর থাকায় তার বিশেষত্বও লক্ষ্য করা গিয়েছে ৷ পৃথিবীর মত সুখময় জীবন হতে পারে ৷ তবে সমু্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় যেমন ভাবে আবহাওয়া চরমাভাপন্ন ঠিক তেমন ভাবেই ৷ এই গ্রহে চোরা আবাসীয় ক্ষেত্র পৃথিবীর মত গোল্ড রক জোন (Goldilocks Zone) রয়েছে ৷ (প্রতীকী ছবি: shutterstock) ৷
মিনি নেপচুনের আকার পৃথিবীর থেকে ১.৬ গুণেরও বেশি ৷ কিন্তু নেপচুনের থেকে কম হয় ৷ তবুও মত আন্তরিক সরঞ্চনা হতে পারেনা ৷ এছাড়াও এখানে হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ আবহাওয়া ও চাপ যা প্রাণের অনুকূল একদমই নয় ৷ কিন্তু মিনি নেপচুন K2-18b-এর বিষয়ে লেখাপড়া করে জানতে পারা গিয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই গ্রহ প্রাণ বহন করতে পারে ৷ এই অধ্যয়নের ফলাফলের মধ্যে গ্রহ ও তারার বিষয়েও পড়াশুনো করা হয়েছে ৷ এই বিশেষ গ্রহে প্রাণের স্পন্দন ঠিক কতখানি দীর্ঘায়িত হবে ৷ এই গ্রহ পৃথিবীর থেকে ২.৬ গুণ বড় হবে ৷ এখানকার তাপমাত্র ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে ৷ (প্রতীকী ছবি: shutterstock) ৷
এই আকারের বাহাগ্রহ (Exoplanet) জনসংখ্যা সব থেকে বেশি হয় ৷ সুপার আর্তের মত বিস্তারিত ভাবে অধ্যয়ন করা সম্ভব নয় ৷ এই সমস্ত গ্রহতেই প্রাণের স্পন্দন খুজে পাওয়াটা বেশ সহজ সাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ৷ বেশ কিছু গ্রহ আকারের মাধ্যমেই হাইসিন নয় ৷ এর সঙ্গে ভার, তাপমাত্রা বায়ুমণ্ডলের , সঙ্গে মানানসয়ী হওয়াটাও অত্যন্ত জরুরি ৷ (প্রতীকী ছবি Pixabay) ৷
ভূগোলবিদরা এছাড়াও প্রাণের সঙ্কেত খোঁজার চেষ্টায় আছেন যাতে প্রাণের স্পন্দন খুজে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ৷ অক্সিজেন, ওজোন, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইডের উপস্থিতি খুঁজে বের করা হয় ৷ এছাড়াও মিথাইল ক্লোরাইড, ডাইমিথাইল সালফাইড যেমন বায়োমার্কসও দেখা যেতে পারে পৃথিবীতে কম মাত্রায় রয়েছে ৷ কিন্তু হাইড্রোজেন পরিবেষ্টিত বায়ুমণ্ডলের প্রাণের স্পন্দনে অত্যন্ত ঝুঁকি রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে ৷ (প্রতীকী ছবি: shutterstock) ৷