Corona Vaccine বৃদ্ধি করছে প্রসূতিদের ঝুঁকি, জন্মাচ্ছে মৃত সন্তান, বড় বয়ান বিশেষজ্ঞদের

ব্রিটেনের বক্তব্যতে রাতের ঘুম উড়ছে বহু মানুষের ৷ করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রভাবে গর্ভনষ্ট বা মৃত সন্তান জন্মানোর প্রবণতা তৈরি হচ্ছে বলেই দাবি করা হচ্ছে ৷ এমনকি এও দাব করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিন প্রজনন ক্ষমতা ক্রমশই হ্রাস করছে ৷ ব্রিটেন মেডিক্যাল নিয়ামক সংস্থার মতে করোনা ভ্যাকসিন নিলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস ও সন্তান জন্ম দিওয়ার বিষয়ে কোনও প্রভাব বিস্তার করে কি না এই বিষয়ে এমন কোনও তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি ৷ মেডিক্যাল অ্যান্ড হেল্থ কেয়ার প্রোডাক্ট রেগুলেটরি এজেন্সি জানিয়েছে এমন ধরেনর কোনও প্রমাণিত সত্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি যে করোনা ভ্যাকসিন নিলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় ৷ ছবি সৌজন্যে রয়টার ৷

তবে সন্তান সম্ভবা মায়েরা কম সংখ্যক করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৷ কেননা হাসপাতালে যে সমস্ত মহিলারা ভর্তি হয়েছেন তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই করোনা আক্রান্ত যাঁদের কোনও করোনা টিকা নেওয়া হয়নি ৷ ডিসেম্বর ২০২০ থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে তখন থেকেই সন্তান সম্ভবা মায়েরা কম করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৷ সরকারের পক্ষ থেকে টিকাকরণের বিশেষজ্ঞ কমিটি প্যানেল জানিয়েছে প্রথমের দিকে সন্দেহ হলেও পরে জানতে পারা গিয়েছে প্রেগন্যান্ট মহিলাদের জন্য করোনা টিকা একদম সুরক্ষিত ৷ ছবি সৌজন্যে রয়টার ৷

প্রেগন্যান্ট মহিলাকে ফাইজার বা ম্যাডোনা ভ্যাকসিন আট সপ্তাহের অন্তরে দেওয়া হয়, এমএইচআরএ সমীক্ষায় জানতে পারা গিয়েছে সারা পৃথিবীর ৯০,০০০ সন্তান সম্ভবা মহিলা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকাকরণ করেছেন ৷ জানতে পারা গিয়েছে মিসক্যারেজ, সময়ের আগে জন্ম বা প্রজননের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি ৷ তবে জানতে পারা গিয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ফলে প্রিম্যাচিউরের ৬০ শতাংশ ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে ৷ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় জানতে পারা গিয়েছে গর্ভবতী মহিলারা ৩৭ সপ্তাহের আগে ডেলিভারি করানো সম্ভব নয় ৷ ছবি সৌজন্যে রয়টার ৷

জুলাই ২০২০ থেকে জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ২ লক্ষ ৪০ হাজার জন্মের পরিসংখ্যান যোগাড় করেছে ৷ সেখানে ৯,০০০ মহিলা সন্তান সম্ভবা মহিলার মধ্যে করোনা পাওয়া গিয়েছে ৷ সময়ের আগে সন্তানের জন্ম সন্তানকে বেশ দুর্বল করে তোলে ও নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে ৷ কোভিড আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে ২-৩ গুণ সম্ভাবনা বেড়ে যায় করোনা আক্রান্ত হওয়ার ৷ ছবি সৌজন্যে এএফপি ৷