• কথায় বলে, ‘যেখানেই দেখো ছাই, উড়াইয়া দেখো তাই/ পাইলেও পাইতে পারো, অমূল্য রতন’। এই কথাই মনে রেখেছিলেন সেই ব্যক্তি। সেই কারণে পার্কে বেড়াতে বেড়াতে হঠাৎ নজরে পড়া একটি চকচকে বস্তুকে হাতে তুলে দেখতে গেলেন, যে সেটি ঠিক কী ? তারপরই বোঝা গেল, ওই ব্যক্তির হাতে যেটি রয়েছে, সেটি আসলে একটি বহুমূল্য হিরে...পার্কে পড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছিল।
• ক’দিন আগেই ঝড় 'লরা' আড়ছে পড়ে ওই অংশে। তারপর এক বন্ধুর সঙ্গে এমনি একাকী বেড়াতে এসেছিলেন কেভিন। তিনি বলছেন, '' আমি ওই এলাকা দিয়ে দশ মিনিট আগেই ঘুরে গিয়েছিলাম, তখনও কিছু নজরে পড়েনি। পরে ওই এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় একটা ক্রিস্টালের মতো কিছু আমার নজরে পড়ে। সেটা চকচক করছিল। আমি ওটা তুলে ব্যাগে ভরে নি। তারপর আবার হিরে খুঁজতে শুরু করি।''
• তিনি বলেছেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, এটি বোধহয় কাঁচের তৈরি কোনও জিনিস। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর পার্কের ডায়মন্ড চেকিং সেন্টারে অনেকে নিজেরা যা পেয়েছেন, সেগুলি পরীক্ষা করে দেখাচ্ছিলেন। আমি প্রথমে দেখাইনি। ভাবলাম, আমি তো কিছু পাইনি। পরে এক বন্ধুকে দেখে ভাবলাম আমার পাওয়া জিনিসটাও একবার দেখিয়ে নি। তারপর তাঁরাই বললেন, আমি একটি হিরে কুড়িয়ে পেয়েছি।
• তিনি বলছেন, প্রথমে কথাটি আমি বিশ্বাস করতে চাইনি। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির পর হঠাৎ করে সেদিন প্রবল রোদ দেখা দেয়। আর সেই রোদের আলোয় ঝকঝক করে ওঠে হিরে। তখনই হিরেটি নজরে পড়ে যায় কেভিনের। এই বছর এই পার্ক থেকে ২৪৬টি হিরের টুকরো উদ্ধার হয়েছে। দিনে গড়ে দু’জন করে এই হিরের পার্ক থেকে হিরে উদ্ধার করেন সাধারণ মানুষ।