'Can’t live without u,darling'... ভানুকে নিয়ে আবার বেদনাদায়ক পোস্ট সুদীপার

*প্রিয় পোষ্যের মৃত্যু৷ তাতে খুবই কাতর সুদীপা৷ পোষ্য সারমেয় ভানুর শোক কোনও ভাবেই ভুলতে পারছেন না তিনি৷ আদরের পোষ্যকে তিনি ডাকতেন ভানু বলে৷ এমনকী পোষ্যের নামের সঙ্গে জুড়েছিলেন তাদের পদবীও৷ সেই ভানু চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানান সুদীপা৷

*তার সপ্তাহ খানেক পর তিনি আবার লেখেন, হাম উন দিনও আমির থে, জব তুম করিব থে..অর্থাৎ যেই সময় তুমি ছিলে, সেই সময় খুব ভাল ছিলাম আমি৷ তিনি আরও লেখেন যে তোমায় ছাড়া থাকতে পারছি না৷ জানি না কী ভাবে এই শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে পারব৷

*ভানুর মৃত্যুর পর তার একটি ছবি সুন্দর করে বাঁধিয়ে তাতে মালা পরানো হয়েছে৷ তাঁকে স্মরণ করা হয়৷ তাতে লেখা হয়, ভানুভুষণ চট্টোপাধ্যায়, জন্ম ২২ মার্চ ২০১৩, মৃত্যু ৫ মে ২০২২৷

যাকে আগলে আগলে রাখতেন এতদিন, সেই ভানুর বিচ্ছেদ যেন কোনও ভাবে মানতে পারছেন না তিনি৷

ভানু তাঁর পোষ্য৷ যাকে সন্তানসম ভালবাসতেন সুদীপা৷

নিয়মিত সেই পোষ্যর ছবিও সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিতেন তিনি৷আদর করে সেই পোষ্য সারমেয়র নাম রেখেছিলেন ভানু চট্টোপাধ্যায়৷

ভানু...মাই জানু, এভাবে প্রায়ই পোষ্যের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখতেন তিনি৷

সেই পোষ্য সারমেয় বিয়োগ খুবই যন্ত্রণাদায়ক৷

পোষ্যকে একেবারে পরিবারের অংশ হিসেবেই মনে করতেন সুদীপা ও তাঁর স্বামী৷

খুবই ছোট থেকেই এই সারমেয় ছিল তাঁদের সঙ্গে৷ যার নাম রাখা হয়েছিল ভানু৷

ভানুর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল চট্টোপাধ্যায় বাডির পদবীও৷

সুদীপার ছেলে আদিদেব জন্মের আগে থেকেই এই কুকুরটি ছিল তাঁদের সঙ্গে৷

পরবর্তীতে আদিদেবের সঙ্গেও দারুণ দোস্তি হয়ে যায় ভানুর৷

দু’জনের ছবি একসঙ্গে শেয়ার করে সুদীপা লেখেন, মেরে দো আনমল রতন৷

এমনকী দুই পোষ্যের সঙ্গে খুব ভাল সময় কাটাতেন সুদীপার স্বামী, পরিচালক অগ্নিদেব

এটি গ্রেট ডেন প্রজাতির কুকুর৷ খুব লম্বা হয় এই কুকুরগুলি৷

মূলত জার্মানির কুকুর, এদের ব্যবহার করা হয় শিকারি হিসেবে৷ তবে পোষ্য হিসেবেও ভাল এরা৷

আরও একটি সারমেয় পোষ্য রয়েছে সুদীপার বাড়িতে৷ তবে ভানুর প্রতি যেন একটু বেশি টান অনুভব করতেন সুদীপা৷

ভানু আর না থাকায় খুবই শোকাহত সুদীপা৷ তিনি লিখছেন...গুড বাই ভানু, মাই বেবি, মা তোমায় সবথেকে বেশি ভালবাসে৷ আবার দেখা হবে৷