বাবা রিকশা চালক ! অভাবকে হারিয়ে মেয়ে মান্যা সিংয়ের মাথায় উঠল সেরা সুন্দরীর মুকুট
মান্যা এইচএস পরীক্ষায় স্কুলের টপার হন। এরপর সকালে বাসন মাজার কাজ করেছেন, রাতে কল সেন্টারে কাজ করে নিজের পড়াশুনো চালাচ্ছিলেন। আর স্বপ্ন দেখতেন সেরা সুন্দরী হওয়ার।


সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০২০। মিস ইন্ডিয়া ২০২০-র মুকুট উঠল মানাসা বারাণসীর মাথায়। তবে গল্পটা তাঁকে নিয়ে নয়। আজকের গল্পের নায়িকা মান্যা সিং। উত্তরপ্রদেশের মান্যা তৃত্বীয় স্থান অধিকার করেছেন। তবে তাঁর লড়াইটা বাকিদের থেকে একটু আলাদা। photo source collected


ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড জুরি টিমে ছিলেন নেহা ধুপিয়া, চিত্রাঙ্গদা সিং, পুলকিত সম্রাট। ছিলেন দুই বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার ফাল্গুনী ও শেন পিকক। শুধু শরীরি সৌন্দর্য নয়, বুদ্ধিমত্তার বিচারেও বেছে নেওয়া হয় এই সুন্দরীদের। আর এই মঞ্চেই সেকেন্ড রানার আপ হন মান্যা সিং। দ্বিতীয় হয়েছেন হরিয়ানার মণিকা শেওকান্দ ! photo source collected


মান্যার কথা বলা হচ্ছে কারণ তাঁর ছোটবেলা কেটেছে চরম আর্থিক অনটনে। উত্তর প্রদেশের খুশিনগরে তাঁর জন্ম। তাঁর বাবা একজন রিকশা চালক। রিকশা চালিয়েই সংসার চলে তাঁদের। photo source collected


মান্যা ছোট থেকেই পড়াশুনোয় ভালো ছিলেন। তাই সামান্য গয়না বেঁচে মান্যার মা তাঁর স্কুলের পরীক্ষার টাকা দিয়েছেন। মান্যা পড়ার জন্য বই কিনতে পারতেন না। মাইলের পর মাইল হেঁটে সব জায়গায় যেতেন। শুধু মাত্র কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য। এমনকি এমন দিনও গেছে তাঁদের যখন না খেয়ে দিন কাটাতে হয়েছে। একটা ছোট্ট ঘরেই খাওয়া দাওয়া, রান্না, ঘুমোনো, পড়াশুনো। সেখানেই মা, বাবা ও ভাইকে নিয়ে তাঁর সংসার। photo source collected


মান্যা এইচএস পরীক্ষায় স্কুলের টপার হন। এরপর সকালে বাসন মাজার কাজ করেছেন, রাতে কল সেন্টারে কাজ করে নিজের পড়াশুনো চালাচ্ছিলেন। আর স্বপ্ন দেখতেন সেরা সুন্দরী হওয়ার। সেই স্বপ্নকে সত্যি করার সাহস জোগান মান্যার বাবা মা। photo source collected


তাঁদের উৎসাহতেই মান্যা সাহস পেয়েছেন। এবং মিস ইন্ডিয়ার মঞ্চে এসে খেতাব জিতেছেন রানার-আপের। এই সব কথা মান্যা নিজেই জানিয়েছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে। এমনকি বিচারকদের সামনেও নিজের জীবনের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরেন তিনি। মান্যাকে পুরস্কার পেতে দেখে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন তাঁর বাবা ও মা। মান্যা প্রমান করলেন ইচ্ছে থাকলে সব বাধা কাটিয়ে জিতে নেওয়া যায় স্বপ্নকে। photo source collected