

• রেখা । দেশের বিনোদন জগতে অসম্ভব ব্যক্তিত্বময়ী, বিতর্কিত, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা আবেদনময়ী এক নাম । যে নামের সঙ্গে আজও জড়িয়ে রয়েছে বহু রহস্য, বহু অচানা-গোপন গল্প, বহু তর্জা । সিনেমার জগত থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও ওই একটা নামে আজও কেঁপে ওঠে সিনেপ্রামীদের মন । সেই রেখা’কে নিয়েও কিন্তু একদিন সমালোচনা কম হয়নি । দেশের মানুষ তাঁকে কাঠগোড়ায় দাঁড় করিয়ে, কটূক্তিতে ভরিয়ে দিয়েছে ।


• তাঁর রূপ, যৌবন, লাস্য যেমন চুম্বকের মতো আকর্ষণ করেছে মানুষকে...তেমনই বুকের মধ্যে হৃদয় পাখি তিরতির কেঁপে উঠেছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন, প্রেম, সোহাগের গোপন কাহিনী শুনতে শুনতে । রেখা-অমিতাভ । তাঁদের গোপন প্রণয়ের সেই কাহিনী সে কালেও যেমন রাতের ঘুম উড়িয়ে দিত সিনেপ্রেমীদের, আজকের যুগেও তা একই রকম হট টপিক ।


• হ্যাঁ প্রেম করেছিলেন বটে রেখা আর অমিতাভ বচ্চন । আর সেই প্রেমের খবর নিমেষে জ্বলন্ত বহ্নিশিখার মতো ছড়িয়ে পড়েছিল চারিদিকে । কিন্তু অমিতাভ তখন বিবাহিত । পুরোদস্তুর ফ্যামিলি ম্যান । লোকের মুখে মুখে সে কথা এসে পৌঁছল জয়া বচ্চনের কানেও ।


• ১৯৭৬ সালে ‘দো আনজানে’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময় থেকে প্রেম শুরু । শোনা যায়, রেখার কোনও এক বন্ধুর গোপন বাংলো বাড়িতে দেখা সাক্ষাৎ করতেন রেখা-অমিতাভ । সে কথা কেউ জানত না । কিন্তু হঠাৎই একদিন সেটে রেখার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করায় এক টিম মেম্বারের উপর প্রচণ্ড রেগে যান অমিতাভ । আর এরপর থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে দাবানলের মতো ।


• আর এর ঠিক পড়েই নিতু সিং আর ঋষি কাপুরের বিয়েতে রেখাকে প্রথমবার দেখা গেল সিঁথি ভর্তি সিঁদুর আর গলায় মঙ্গলসূত্র পরে । অমিতাভ-জয়া দু’জনেই উপস্থিত সেই বিয়েতে । সমস্ত স্পট লাইট একাই কেড়ে নিলেন রেখা । তা হলে কি অমিতাভের সঙ্গে গোপনে বিয়ে সেরেছেন তিনি ? পরের দিন সমস্ত গসিপ ম্যাগাজিনের পাতা ভরে গেল এই একটি খবরে ।


• অনেকেই সে দিন লক্ষ্য করেছিলেন, পাথরের মতো স্থির রাখার অনেক চেষ্টা করেও সে দিন ব্যর্থ হয়েছিলেন জয়া । সবার অলক্ষ্যে তাঁর মা নীচু হয়ে গেল । গোপনে চোখের কোণে আসা জল মুছে ফেলেছিলেন তিনি ।


• এরপরেই একদিন রেখার সেই সোহাগী রূপকে সামনে থেকে লক্ষ্য করতে বাড়িতে ডিনারে তাঁকে ডাকলেন জয়া । সে দিনই নাকি পরিষ্কার তিনি রেখাকে বলে দিয়েছিলেন, অমিতাভের জীবন থেকে কোনওদিন সরে যাবেন না তিনি । তাঁর স্বামী একজন ফ্যামিলি ম্যান । পরিবারকে তিনি ভালবাসেন । তিনি তাঁর স্ত্রী’কে ভালবাসেন, আর তিনিও ভালবাসেন তাঁর স্বামী’কে ।