'' সুশান্ত ভাইয়ার গলার দাগ দেখেই বুঝেছি ফাজ-এর বেল্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে খুন করেছে ''
'গলায় যে '0'- এর মত দাগটা ছিল, সেটা ওই বেল্টেরই দাগ। কালপ্রিটরা ফাজের বেল্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সুশান্ত ভাইয়ার শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।' বিস্ফোরক সুশান্তের প্রাক্তন সহকারী অঙ্কিত আচার্যর


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত ক্রমেই জটিল হচ্ছে! প্রতিদিন সামনে আসছে নয়া-নয়া তথ্য। আত্মহত্যা ? খুন ? না রয়েছে অন্য কোনও চক্রান্ত ? অবশেষে মৃত্যুর তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আসল সত্যটা সামনে আনতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে প্রয়াত অভিনেতার সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন মানুষজনকে! এবার মুখ খুললেন সুশান্তের প্রাক্তন সহকারী অঙ্কিত আচার্য। ২০১৭ সালের জুলাই মাস থেকে ২০১৯-এর জুলাই পর্যন্ত সুশান্তের সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন অঙ্কিত। তাঁর দাবি, সুশান্ত ভাইয়া কখনওই আত্মহত্যা করেননি, খুন করা হয়েছে তাঁকে!


সুশান্তের মৃত্যুর পর নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে মৃতদেহের বেশ কিছু ছবি। সেগুলো দেখে অঙ্কিতের দাবি, সুশান্তের গলায় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ইংরেজি হরফ '0'-এর মত একটি দাগ, যা থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, যদি সুশান্ত গলায় ফাঁস লাগিয়ে সিলিং থেকে ঝুলে পড়তেন তবে চোখ, জিভ ঠিকড়ে বেরিয়ে আসত, গলায় ইংরেজি হরফ 'U'- এর মত চিহ্ন পড়ত। কিন্তু এগুলোর কোনওটাই 'সুশান্ত ভাইয়া'-র মৃতদেহে দেখা যায়নি।


Pinkvilla-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঙ্কিত আচার্যর দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুতকে তাঁর পোষ্য কুকুর ফাজ-এর চেন দিয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়েছে। তাঁর ভাষায়, '' আমি আপনাদেরকে এটাও বলতে পারি সুশান্তের গলায় যে দাগটা ছিল, সেটা কিসের। সেটা ওর পোষ্য কুকুর ফাজের বেল্ট-এর দাগ। আমার কাছে এখনও ওর মরদেহের ছবি রয়েছে, আমি সেগুলো খতিয়ে দেখি এবং আমি নিশ্চিত, গলায় যে '0'- এর মত দাগটা ছিল, সেটা ওই বেল্টেরই দাগ। কালপ্রিটরা ফাজের বেল্ট দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে সুশান্ত ভাইয়ার শ্বাসরোধ করে খুন করেছে।'


চাকরিটা কেন ছেড়ে দিলেন? প্রশ্নের উত্তেরে অঙ্কিত জানান, তিনি নিজে কখনও ছাড়েননি, তাঁকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই সময়ে রিয়া সুশান্তের জীবনে এন্ট্রি নিয়ে নিয়েছেন। আজও সেই দিনটা ভোলেননি অঙ্কিত, জানালেন, '' দিল বেচারার শ্যুটিং শেষ করে আমরা মুম্বই ফিরব। হঠাৎ করেই ফোন আসে, আমার এক বন্ধুর বাবা মারা গিয়েছেন, আমাকে সেখানে যেতে হবে। আমি সুশান্ত ভাইয়া -কে জানিয়ে বন্ধুর কাছে যাই। মুম্বই ফিরতে আমার কয়েকদিন দেরি হয়েছিল। ফিরেই আমি সুশান্ত স্যারের ফ্ল্যাটে যাই। তখন বাড়ির অন্যান্য পরিচারকেরা আমায় ঢুকতে দেন না। বলেন, সুশান্ত স্যর ট্রিপ-এ গিয়েছেন।


অঙ্কিত জানান, সুশান্তকে ফোন করার পর তিনি দেখা করতে বলেন। তাঁকে দু'মাসের বেতন তো দেনই, সঙ্গে বাড়তি ৫০ হাজার টাকাও দেন। অঙ্কিতের মতে, এই সময়ে সুশান্তকে তাঁর অন্যরকম লাগে! চোখের তলায় কালো ছোপ, ক্লান্তি, কেমন জানি অবসাদের ছাপ। সেই চেনা সুশান্ত ভাইয়া, যাঁর ঠোঁটে সবসময় হাসি লেগে থাকত, যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। অঙ্কিত আচার্যর মতে, ২০১৯-এর জানুয়ারিতে সুশান্তের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স ছিল ৩০ কোটি। তিনি আরও জানান, ' আমি সুশান্ত সুশান্ত ভাইয়ার বাড়িতেই থাকতাম, নিজের ভাইয়ের থেকে বেশি প্রিয় ছিল স্যর। কোনওদিনও দরজাটা পর্যন্ত লক করতেন না।