

•দিশার থুতনির কাছে ছিল দেড় ইঞ্চির মতো গর্ত, চোখ, নাক, দাঁত দিয়ে গলগল করে রক্ত ঝড়ছিল৷ হাতও ছিল মোড়া৷ এমনভাবেই হাসপাতালে সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশার মৃতদেহ দেখেছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক পঙ্কজ৷ তবে তাকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার কথা বলা হলেও, দিশাকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছয় একটি প্রাইভেট কার!


•দিশার মৃত্যু হয় ৮ জুন, সুশান্তের মৃত্যুর কিছু দিন আগেই৷ সেদিন রাত ১.৪৫ নাগাদ কল্যাণ নগর পুলিশ স্টেশন থেকে ফোন আসে অ্যাম্বুলেন্স চালক পঙ্কজের কাছে৷ জানানো হয় একজনের দেহ পড়ে রয়েছে, হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব৷ মাত্র ১০ মিনিটে এলাকায় পৌঁছে পঙ্কজ জানতে পারেন যে, দিশার দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতাল৷


•এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থায় নিজের অভিজ্ঞতা জানান পঙ্কজ৷ তিনি জানান যে রাতে এলাকায় পৌঁছে তিনি দেখেন যে, প্রচুর মানুষ এবং পুলিশও রয়েছে ঘটনাস্থলে৷ তবে দেহটি নেই৷


•সেখান থেকে তিনি নিজে অন্য একটি দেহ নিয়ে ৩০ মিনিট পর যখন শতাব্দী হাসপাতালে পৌঁছন, তখন দেখতে পান দিশার দেহ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে৷ এবং আশ্চর্যজনক ভাবে সেখানে উপস্থিত সেই সব মানুষজন, যারা দিশার বাড়ির সামনেও হাজির ছিলেন৷ পঙ্কজ বলেন যে, ততক্ষণে দিশাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসক৷


•দিশা ও সুশান্তের মৃত্যুর পর ৩ মাস কেটে গিয়েছে৷ এখনও অন্ধকারেই রয়েছে তাঁদের মৃত্যুর কারণ৷ কিছু দিন আগেই মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে জানান যে, দিশার বয়ফ্রেন্ড রোহন রাইয়ের কাছে রয়েছে কিছু গোপন তথ্য৷