•শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরলেন সোনু সুদ৷ সেখানে কলাকুশলীরা হাততালি দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান৷ ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রসংঘের এক বিশেষ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি৷ ইউএনডিপির (UNDP) স্পেশ্যাল হিউনম্যানিটেরিয়ান অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত তিনি৷ হয়েছে লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তাঁর কাজ বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য৷ তাই তো সকলেই এখন সোনুকে বাহবা দিচ্ছেন৷ পর্দার নয়, বাস্তবের হিরো তিনি৷
•গরিব, অসহায় মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তিনি কুড়িয়েছেন জনতার ভালবাসা ও প্রসংশা৷ তবে সবটাই তিনি করেছেন তিনি ইচ্ছে থেকে৷ এর পিছনে আলাদা করে কোনও উদ্দেশ্য ছিল না৷ স্পষ্ট করেছেন সোনু৷ সোনু সুদের কথায়, অনেকে ভাবছেন আমি রাজনীতিতে পা দিতে চাই৷ তাই এসব করছি৷ কিন্তু তেমন নয়৷ রাজনীতিতে যোগদানের প্রস্তাব আমার কাছে অনেক আগেই ছিল৷ তবে সেই ইচ্ছে এখুণি নেই৷ জানি না ৫-১০ বছর পর কী হবে৷ রাজনীতিকদের প্রতি আমার সম্মান অগাধ৷ আমি যদি কখনও সেই পথেও হাঁটি, তাহলে সেখানে নিজের সাধ্য মতো চেষ্টা করব৷
•সোনু বলছেন, যদি অন্যকে সাহায্যের ইচ্ছে থাকে, তাহলে ঠিক উপায় বেরিয়ে যায়৷ আমি যখন কাজ শুরু করি, তখন প্রথমে এক ব্যক্তি বলেন আধা বাস স্পনসর করতে চান৷ এরপর অন্য একজন পুরো বাসের দায়িত্ব নিলেন৷ এভাবে বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন মানুষকে পাশে পেয়েছি, যারা নির্দ্বিধায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন৷ তাই, কে আমার নামে কী নিন্দা করল, সেই ব্যাপারে মাথা ঘামাইনি৷ শুধু মানুষের উপকারই করতে চেয়েছি৷
•তবে এই যাত্রায় যাদের সাহায্য করতে চেয়েছেন তিনি, তারা সকলেই কী সৎ ছিলেন? সোনু জানান যে, মোটের ওপর মানুষ বাড়ি ফিরতেই তাঁর কাছে অনুরোধ করেছিলেন৷ তবে যখন কেউ বা কারা অনুরোধ করতেন, তখন সোনুর টিম তাদের কাছে গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আসতেন৷ মোটের ওপর ৯০ শতাংশ মানুষই ভাল ছিলেন বলে জানা অভিনেতা৷