কোর্ট থেকেই হেফাজতে নেওয়া হবে, গ্রেফতারির আগে রিয়ার বিরুদ্ধে শক্তপোক্ত কেস সাজাচ্ছে এনসিবি
,এই মুহূর্তে রিয়ার বিরুদ্ধে সমস্তরকমের তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া এনসিবি। রিয়াকে গ্রেফতার করার আগে শক্তপোক্ত কেস সাজাচ্ছেন আধিকারিকরা যাতে গ্রেফতারির পর কোর্টে পেশ করে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া যায়।


রবিবারের পর আজ, সোমবার মাদক কাণ্ডে রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল অ্যান্ড ব্যুরো। এনসিবি সূত্রে জানা যায়, জেরায় ড্রাগস বা মাদক প্রসঙ্গে রিয়ার দাবি, তিনি নিজে কখনও মাদক সেবন করেননি, নিজে কখনও মাদক কেনেননি এবং কখনও মাদকে হাত পর্যন্ত দেননি। জেরায় রিয়া শুধুমাত্র এটুকুই স্বীকার করেছেন, বারকয়েক তিনি সুশান্ত সিং রাজপুতের জন্য মাদকের ব্যবস্থা করেন!


সুশান্ত মৃত্যু তদন্ত চলাকালীন মাদকের গন্ধ পান সিবিআই আধিকারিকরা! তারপরই তদন্ত শুরু করে নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি! ইতিমধ্যেই মাদক চক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী, সুশান্তের প্রাক্তন হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও সুশান্তের রাঁধুনী দীপেশ! এবার এনসিবি-র জেরায় সুশান্ত মৃত্যু মামলার অন্যতম মূল সন্দেহভাজন রিয়া চক্রবর্তী! রবিবার, সোমবারের পর আগামিকাল মঙ্গলবারও রিয়াকে জেরা করবে এনসিবি।


সূত্রের খবর,এই মুহূর্তে রিয়ার বিরুদ্ধে সমস্তরকমের তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া এনসিবি। রিয়াকে গ্রেফতার করার আগে শক্তপোক্ত কেস সাজাচ্ছেন আধিকারিকরা যাতে গ্রেফতারির পর কোর্টে পেশ করে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া যায়।


রবিবার টানা ৬ ঘণ্টা রিয়াকে জেরা করে এনসিবি। জেরায় রিয়ার দাবি, সুশান্ত চড়শের নেশা করতেন। তিনিই রিয়াকে বলেছিলেন, শৌভিক ও স্যামুয়েলের থেকে চড়শ জোগাড় করার ব্যবস্থা করতে। রিয়ার বক্তব্য, সুশান্ত জানতেন, শৌভিক এবং স্যামুয়েলের পরিচিত কিছু লোকজন রয়েছেন, যাঁরা তাঁর জন্য মাদক সরবারহ করতে পারবেন। জেরায় রিয়া এও স্বীকার করেন, তিনি সুশান্তের জন্য দু-একবার মাদকের ব্যবস্থা করেছেন। রিয়ার দাবি, স্যামুয়েলের থেকে সরাসরিও মাদক নিতেন সুশান্ত। তবে, শৌভিক মাদক সেবন করেন কিনা, সে বিষয়ে তাঁর কিছু জানা নেই! রিয়া এও জানান, চড়শ ছাড়া অন্য কোনও মাদক সেবন করতেন না সুশান্ত!


রবিবারের পর আজ, সোমবারও রিয়াকে জেরা করে সিবিআই। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পুলিশের ঘেরাটোপে এনসিবির অফিসে পৌঁছে যান অভিনেত্রী। সূত্রের খবর, সোমবার শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশের সঙ্গে বসিয়ে রিয়া চক্রবর্তীকে হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এনসিবি আধিকারিকরা। এদিন সকালেই শৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।


অন্যদিকে এনসিবি-র জেরায় রিয়া ১৮-১৯ জন হেভিহোয়েট বলিউড সেলেবদের নাম উল্লেখ করেন, যাঁরা নিয়মিত ড্রাগ নিয়ে থাকেন। রিয়ার স্বীকারোক্তি, ১৫ মার্চের যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে, তা একেবারে সত্যি। সেখানে তিনি এবং শৌভিক ড্রাগ নিয়েই আলোচনা করেছিলেন।


সুশান্ত মৃত্যুর তদন্তে মাদক যোগ পাওয়ার পরই তদন্তে যুক্ত হয় এনসিবি৷ রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে মামলাও করেছে তারা ৷ শৌভিকের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে উঠে আসে, একাধিক মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। সেই সূত্র ধরে ইতিমধ্যেই বসিত, ভিলাত্রা, ফৈয়াজ ও কাইজান নামে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে NCB। জেরায় ৪ জনই স্বীকার করেছেন শৌভিকের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের কথা! খোঁজ চলছে মাদক ব্যবসায়ী ফারুক বাটাটার।