

• প্রথম থেকেই অভিযোগের আঙুল উঠছিল সুশান্তে বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে । এ বার যেন তা আরও জোরদার হল । রিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক মারাত্মক অভিযোগ এনে অভিযোগ দায়ের করলেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং ।


• সুশান্তের কেরিয়ার ধ্বংস করা, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে না দেওয়া, হুমকি, আত্মহত্যায় প্ররোচনা, সুশান্তের টাকা আত্মস্যাৎ করার মতো একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে তাতে ।


• এ দিকে সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই আরও এক মহিলা রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে । তিনি সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে । তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু দু’জনেই ভালবাসতেন দু’জনকে । সুশান্ত একাধিকবার অনুশোচনা করেছিলেন অঙ্কিতাকে ছেড়ে আসার জন্য । অঙ্কিতাও সুশান্তের মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েন ।


• সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কোনও ছবি পোস্ট করেননি অঙ্কিতা । লোক সমক্ষেও আসেননি । ঘরে বসে শুধুই ঈশ্বরের কাছে সুশান্তের জন্য প্রার্থনা করেছেন তিনি । সেই ছবিও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় ।


• রিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়ার পর ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন অঙ্কিতা । তবে তাঁর সেই পোস্টটি ছদ্মবেশের আড়ালে ছিল বেশ অর্থবহ । সোশ্যাল মিডিয়ায় অঙ্কিতা পোস্ট করেছিলেন ‘ট্রুথ উইনস’, অর্থাৎ ‘সত্যের জয় হবেই ।’ ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘হ্যাঁ এটা সত্যি । আর এটা হবেই ।’


• তবে আর মেঘের আড়ালে থেকে যুদ্ধ হয় । সুশান্তের মৃত্যুর দেড় মাস পর তা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অঙ্কিতা লোখান্ডে । প্রথমবার সর্বসমক্ষে ‘মানব’-কে নিয়ে বিস্ফোরক ‘অর্চনা’ । রিপাবলিক টিভি’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সুশান্তের কোনওরকম মানসিক সমস্যা ছিল না । অবসাদগ্রস্ত ছিলেন না সুশান্তে ।


• অঙ্কিতা এও জানান, সুশান্ত অবসাদে ভোগের মতো ছেলেই নন । সফলতা, বিফলতা খুব সহজ ভাবে নিতে জানতেন তিনি । ৬ বছর লিভ-ইন রিলেশনসিপে ছিলেন তাঁরা । অঙ্কিতা জানাচ্ছেন, সে সময় সুশান্ত ডায়রি লিখতেন । তাতে তিনি লিখেছিলেন, পাঁচ বছর পর কোথায় নিজেকে দেখতে চান তিনি । আর সেটা করে দেখিয়েছিলেন নায়ক ।


• অঙ্কিতার বক্তব্য অনুসারে, একেবারে শিশুর মতো ছিলেন সুশান্ত । ছবিতে সফল না হলে চাষবাস করার কথা বলতে বা শর্টফিল্ম বানাতে চাইতেন । সুশান্তের বাবাও জানিয়েছেন, ছেলে চেয়েছিল কেরলে গিয়ে অর্গ্যানিক ফার্মিং করতে । এই রকম একটা মানুষ কখনও অবসাদগ্রস্ত হতেই পারেন না । কেন মিডিয়ায় প্রথম থেকে সুশান্তকে মানসিক রোগী বলা হচ্ছে তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন অঙ্কিতা । তিনি বলেন, সুশান্তের মতো ছেলে আত্মহত্যা করতেই পারেন না ।


• অঙ্কিতা আরও বলেন, ‘‘আমি সত্যিই জানি না পরিস্থিতি কী ছিল । কিন্তু এটুকু বলতে পারি, আপনারা কি জানেন সুসান্ত কে, ও সত্যিই কী ছিল? কাউকে হঠাৎ করে বাইপোলার বলে দেওযা কিন্তু একটা খুব বড় ব্যাপার । এইসব খবর দেখে সত্যিই খারাপ লাগে । তবে আমি জোর গলায় বলতে পারি, সুশান্ত কখনওই অবসাদগ্রস্ত ছিল না । ও একজন হিরো, ও একজন আদর্শ ।’’