ভূমিষ্ঠ হয়েছে কন্যাসন্তান, চরম বিরক্তিতে সদ্যোজাতকে ড্রামের জলে ডুবিয়ে দিল মা! নৃশংসতায় শিহরিত দেশ...
ছেলে হোক, চেয়েছিল মা। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হয় কন্যাসন্তান। সেই রাগে মাত্র একমাস বয়সি সন্তানকে ঘরে থাকা ড্রাম ভর্তি জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিল মা! ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠছে আট থেকে আশি।


*ছেলে হোক, চেয়েছিল মা। কিন্তু ভূমিষ্ঠ হয় কন্যাসন্তান। সেই রাগে মাত্র একমাস বয়সি সন্তানকে ঘরে থাকা ড্রাম ভর্তি জলের মধ্যে ডুবিয়ে দিল মা! ঘটনার নৃশংসতায় শিউরে উঠছে আট থেকে আশি। ইতিমধ্যেই খুনি মা-এর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।


*কন্যাসন্তান হত্যা, কন্যাভ্রূণ হত্যা-সহ একাধিক সামাজিক সচেতনতা প্রচার, কর্মসূচি, বার্তা বা কর্মশালার পরেও কন্যাসন্তানরা এখনও যে সমাজের কাছে ব্রাত্য, এই ঘটনা তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল। প্রতীকী ছবি।


*লজ্জাজনক, দুর্ভাগ্যজনক, নৃশংস ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের ভোপালের খাজুরির দেহারিয়া কালানের। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ১৪ মাস আগে গ্রামের বাসিন্দা শচিন মেওয়াদার সঙ্গে বিয়ে হয় অভিযুক্ত সরিতার। একমাস আগে সরিতা কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। পরিবারের বাকিদের মেয়ে হওয়ায় কোনও সমস্যা ছিল না। কিন্তু খুশি ছিলেন না সরিতা। প্রতীকী ছবি।


*ঘটনার দিন মেয়ে কিঞ্জলকে নিয়ে ঘরেই ছিল অভিযুক্ত। তার স্বামী চায়ের কাজে মাঠে গিয়েছিলেন। পরিবারের বাকি সকলেই উঠোনে ছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, হঠাৎই তাঁদের পুত্রবধূ বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে জানান, সন্তানকে খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। চারিদিকে খুঁজলেও কোথাও একরত্তির সন্ধান মেলেনি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। প্রতীকী ছবি।


*প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, হয় সদ্যোজাতকে খুন করা হয়েছে, নয়তো কোনও পশু শিশুটিকে বাড়ির বাইরে টেনে নিয়ে গিয়েছে। ফলে শুরু হয় তল্লাশি। বাড়ির চারিদিকে খোঁজা হয় তন্নতন্ন করে। শেষে বাড়ির একটি ৫০ লিটারের জলের ড্রাম থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। প্রতীকী ছবি।


*এরপরেই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে। টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত। স্বীকার করে নেয়, মেয়ে হওয়ায় সে খুশি হয়নি। ফলে সন্তানকে খুন করে সে। পরিবারের অভিযোগ, সরিতা তুকতাক, কালাজাদুতে বিশ্বাস করত। এমনকি ডাক্তারের কাছে যেতে চাইত না। সে অস্বাভাবিক আচরণ করত। তবে সে যে এমন কাণ্ডও ঘটাবে তা তাঁরা বুঝতে পারেননি। প্রতীকী ছবি।