

আনন্দপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অভিষেক পান্ডের বাড়ি মুর্শিদাবাদের ফারাক্কায়। বাবা দেবেন্দ্র পান্ডে ফারাক্কা ব্যারেজে চাকরি করেন। ফারাক্কা ব্যারেজের আবাসনে তারা থাকেন। কলকাতার ঘটনার পাচঁ দিন আগেই ফারাক্কা তে এসেছিলেন বাড়িতে নিজের গাড়ির করে। যদিও সকাল বেলাতেই আবার চলে যান। Photo- Representative


বাবা দেবেন পান্ডে ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন সংবাদ মাধ্যমের কাছ থেকে। বলেন, ছেলেরা একটা বিয়ে হওয়ার কথা ছিল মাস দুয়েকের মধ্যেই। এটা আমাকে বলেছিল। তার আগে এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটলো তা বলতে পারছিনা। আমি ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। যোগাযোগ করতে পারিনি।


অভিষেকের দুই বোনের মধ্যে ছোট বোন কলকাতার বিমানবন্দরে কাজ করেন। বড় দিদির বিয়ে হয়েছে কলকাতাতেই।


অভিষেকরা যে আবাসনে থাকে তা ঠিক পাশেই থাকে পুতুল সিনহা। বলেন, ছোট বয়স থেকেই আমরা দেখছি। দাদু খুব অসুস্থ বলে কলকাতাতেই থাকেন। ছেলেটা মাঝেমধ্যেই তো এখানে আসে। তবে যদি দোষ করে থাকে অবশ্যই শাস্তি পাওয়া উচিত। যে ঘটনা হয়েছে তা ভাবা যায় না। তবে অভিষেককে অনেকদিন ধরেই দেখছি। এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।


এদিক এর আগে আনন্দপুরে তরুণীকে চলন্ত গাড়িতে শ্লীলতাহানি ও ঠেলে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগকারী তরুণী যার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ও মারধরের অভিযোগ এনেছিলেন, যাকে বন্ধু বলে দাবি করেছিলেন, তিনি আসলে ওই তরুণীরই প্রেমিক। তরুণীর দাবি করা পাঁচদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্কের কথাও সঠিক নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।


পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ওই তরুণের সঙ্গে বেশ কয়েকবছর ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তরুণীর। শুধু তাই নয় তাদের বিয়ে হওয়ার কথাও রয়েছে। কিন্তু পুলিশকে ভাবাচ্ছে এই সম্পর্কের বিষয়টিই। কারণ যার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ঠিক হয়ে রয়েছে তার বিরুদ্ধেই কেন শ্লীলতাহানি, মারধর ও গাড়ি থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনলেন তরুণী। এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য এখনও অধরা পুলিশের কাছে। Photo- Representative -Input-Pranab Kumar Banerjee