

*মায়ের গলা কেটে খুন করে, গোটা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করল ছেলে। সাংঘাতিক ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার। ইতিমধ্যেই গুণধর সেই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে নিজে মুখে ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ভিডিও করতে ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি। প্রতীকী ছবি।


*রেওয়া জেলার খাটিকা গ্রামের বাসিন্দা ধৃত ওই যুবকের নাম ধীরেন্দ্র পাণ্ডে (২৪)। সে ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর মা সাবিত্রী পান্ডের (৪৪) গলার নলি কেটে দেয় রবিবার। মৃত্যু নিশ্চিত হলে দেহ ফেলে দেওয়া হয় বাড়ির পাশের জঙ্গলে। তবে ছেলের কীর্তির কথা প্রথমে ধরতে পারেনি পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশি তদন্তে উঠে আসে তাঁর কর্মকাণ্ড। প্রতীকী ছবি।


*পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রবিবার সাবিত্রী পাণ্ডের স্বামী কৃপাশঙ্কর পাণ্ডে নিকটবর্তী জাওয়া থানায় জানান তাঁর স্ত্রীকে অজ্ঞাতপরিচয় কেউ বা কারা গলার নলি কেটে খুন করেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তখনই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে দম্পতির ছোট ছেলে ধীরেন্দ্রর নানা কীর্তির কথা। প্রতীকী ছবি।


*কৃপাশঙ্কর পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের বড় ছেলে গত বছর মারা যায়। তারপর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সাবিত্রী। মাঝেমধ্যেই কান্নাকাটি করতেন। এমনকি মানসিক স্থিরতা হারাতেন। আর তাতেই বিরক্ত হত ধীরেন্দ্র। কৃপাশঙ্করের দাবি, ছোট ছেলের ধারণা হয়, মা তাকে নয়, দাদাকে বেশি ভালবাসত। ফলে কান্নাকাটি বেশি করলে সে মাকে খুনের হুমকিও দিত। প্রতীকী ছবি।


*এখানেই শেষ নয়। ধীরেন্দ্র তার স্ত্রী এবং বাবার সঙ্গে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করত বলে জানতে পারে পুলিশ। এরপরেই ধীরেন্দ্রর প্রতি সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চাপ দিতে পুলিশের সামনে ভেঙে পড়ে সে। প্রতীকী ছবি।


*ধীরেন্দ্র জানায়, সেই মাকে খুন করেছে রাগের বশে। এমনকি সেই গোটা ঘটনা সে ক্যামেরাবন্দি করেছে। এরপরে তার ব্যবহৃত ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ধীরেন্দ্রর বিরুদ্ধে ৩০২ (খুন) ধারায় মামলা রুজু হয়।