

মাত্র ১৩ বছর বয়স৷ বাড়ির পরিচারিকা সেই কিশোরীকেই ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল গৃহকর্তা৷ প্রতিরোধ করতেই কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অভিযুক্ত৷ যার জেরে এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ওই কিশোরী৷ নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানাযর খাম্মাম টাউনে৷প্রতীকী ছবি


আক্রান্ত কিশোরী এবং অভিযুক্ত, দু' জনেই দলিত সম্প্রদায়ের৷ সবথেকে বড় কথা, গত ১৮ সেপ্টেম্বর এই ঘটনা ঘটলেও কিশোরীর পরিবার কিছুই জানতে পারেনি৷ অভিযুক্ত যুবকই ওই কিশোরীকে নিয়ে একটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে৷ এমন কি, ওই হাসপাতালের তরফেও পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ৷প্রতীকী ছবি


২৬ বছর বয়সি যে যুবক এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা৷ ঘটনার প্রায় কুড়ি দিন পর সোমবার কিশোরীর খোঁজ পায় পুলিশ৷ এর পরই হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ ওই কিশোরীর জবানবন্দি নথিভুক্ত করে৷ অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করা হয়৷প্রতীকী ছবি


নির্যাতিতা কিশোরীর শরীরের ৭০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে৷ তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হলেও শরীরের বড় অংশ পুড়ে গিয়ে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে৷ কিশোরীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভাল ভাবে চিকিৎসা করানোর জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছে পুলিশ৷প্রতীকী ছবি


প্রশ্ন উঠেছে, দগ্ধ অবস্থায় ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও কেন এই ঘটনার কথা পুলিশকে জানাল না বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? জবাবে হাসপাতালের তরফে অজুহাত দেওয়া হয়, তারা ভেবেছিলেন দুর্ঘটনাবশত কিশোরীর গায়ে আগুন লেগে গিয়েছে৷ পুলিশ পাল্টা দাবি করেছে, নিয়ম অনুযায়ী দুর্ঘটনার কথাও পুলিশকে জানানোর কথা হাসপাতালের৷প্রতীকী ছবি