

ছুটির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যঙ্ক লুটের চেষ্টা মালদহের সুজাপুরে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কের শাখায় দুষ্কৃতী হানা। গ্যাস কাটার দিয়ে ভল্ট ভাঙ্গার চেষ্টা। দুপুর নাগাদ এটিএম এ টাকা ভরার জন্য ব্যাঙ্কের গেলে ভেতর থেকে ব্যাঙ্ক বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় কর্মীদের। ঘটনায় হইচই পড়ে যায় সুজাপুর এলাকায়। সেই সময় ব্যঙ্ক থেকে পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে যায় এক দুষ্কৃতী। তাকে মারধর করে উত্তেজিত জনতা।


খবর পেয়ে ব্যঙ্কে পৌঁছয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। ভেতরে তদন্ত করতে গিয়ে চক্ষুচড়কগাছ পুলিশ আধিকারিকদেরই। কারণ ব্যাঙ্কের ভিতরে মিলেছে কম্বল, খাবার জলের বোতল, আঙ্গুর, চিপসের প্যাকেট। উদ্ধার হয়েছে ভল্ট ভাঙ্গার যন্ত্রপাতিও। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।


শুক্রবার সন্ধ্যার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্ক বন্ধ করেন কর্মীরা।ছুটির দিনে ব্যঙ্কে কেউ আসবে না ধরে নিয়ে লুটের পরিকল্পনা করে খাবার সহ ব্যঙ্কে ঢুকে দুষ্কৃতীরা প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। যদিও ছুটির দিনেও আচমকা কর্মীরা ব্যঙ্কে হাজির হওয়ার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ব্যাঙ্কের পেছনের দিকের একটি অংশ দিয়ে একাধিক দুষ্কৃতী ব্যঙ্কে ঢুকে। শনিবার নেতাজির জন্ম দিবস উপলক্ষে ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। এরপর রবিবার ছুটি। ফলে পরপর দুইদিন ব্যাঙ্ক ছুটি। স্বাভাবিক ভাবেই দুষ্কৃতীরা সম্ভবত আন্দাজ করেছিল ব্যাঙ্ক লুটের এর জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া সম্ভব। সেই কারণে কম্বল ও খাবার-দাবার নিয়ে দুষ্কৃতীরা ব্যাঙ্কে ঢুকে।


প্রমাণ লোপাটের জন্য ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা গুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়।মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনিস সরকার জানান, দুষ্কৃতীরা চেষ্টা চালালেও ব্যাংকের ভল্ট ভাঙতে পারেনি। ব্যাংকের অর্থ ও কাগজপত্র ঠিকঠাকই রয়েছে। তবে যেভাবে ব্যাংক লুটের চেষ্টা চালানো হয় তা দুঃসাহসিক কাজ। ধৃতকে জেরা করে ঘটনায় জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।Input- Sebak DebSarma