

করোনার বিরুদ্ধে চলছে নিরন্তর লড়াই ৷ সম্প্রতি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যাঁরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন তাঁদের মুখও ঢাকতে হবে মাস্কে৷ কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্তে বদল৷ কেন ঢাকতে বলা হচ্ছে সমস্তা মানুষের মুখ ৷


WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল যারা সুস্থ আছেন তাদের মাস্ক দরকার নেই৷ তারা নিজেদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছিল যখন রোগি সামনাসামনি কথা বলে তখন তার থেকে ড্রপলেট ছিটকে যায় তার থেকে সামনের ব্যক্তি তার থেকে আক্রান্ত হতে পারে ৷ তাই এদের সঙ্গে যে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন তাদেরই মাস্ক দরকার ৷ তাই মাস্ক সাপ্লাই শুধুমাত্র তাদের জন্যেই বরাদ্দ থাকবে ৷


কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়ে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়েছে ৷ প্রয়োজন হলে মাস্কের বদলে বাড়িতে তৈরি ফেস কভারও কার্যকারী হবে ৷ জেনে নিন চিকিৎসক মানের মাস্ক আর ফেসকভারের মধ্যে কোনটা কীভাবে কাজ করে ৷ ডিসপোজেবেল সার্জিক্যাল মাস্ক একবারই ব্যবহার করা যায়৷ আর সুতির তৈরি ফেসকভার অনেকবার ব্যবহার করা যায়৷ ভাইরাসের বিরুদ্ধে চিকিৎসকদের মাস্ক ৯৭ শতাংশ সুরক্ষা দেয় ৷ অন্যদিকে সুতির তৈরি মাস্ক ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দেয়৷ চিকিৎসাকর্মীদের জন্য বরাদ্দ মাস্কের জন্য আপনাকে মেডিক্যাল স্টোরের ওপর নির্ভর করতে হবে অন্যদিকে এই কাপড়ের টুকরো দিয়ে মাস্ক আপনি নিজে বানিয়ে নিতে পারবেন৷ মেডিক্যাল মাস্ক ব্যবহারের পর তা একটি কাপড়ের ব্যাগে বন্ধ করে রেথে দিতে হয় ৷ অন্যদিকে বাড়িতে তৈরি মাস্ক প্রয়োজন মতো বারবার কেচে ব্যবহার করা যায়৷৷


মাস্ক বা ফেসকভারের ব্যবহার করার সময় কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা দরকার ৷ এই কভার যখন ব্যবহার করা হয় তখন কোনটিই জীবাণুর ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে একশ শতাংশ নিরাপত্তা দেয় না৷ মাস্ক পরা বা খোলার সময় হাত হয় সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধোবেন নয় স্যানিটাইজ করবেন , কারণ আপনার হাতে লেগে থাকা জীবণাু মাস্ককে ক্ষতি করতে পারে, কারণ ওটা আপনার নাক মুখ কভার করে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে আপনার নাকে মুখে জীবাণু ছড়িয়ে দিতে পারে৷ ফেসকভার ভালো করে পরিষ্কার করবেন পাশাপাশি এটাকে যখন ফেলবেন তখন দেখে নেবেন যেন ঠিক করে ফেলা হয়৷ ফেসকভার পরা অবস্থাতেও আপনি যেন আপনার মুখ স্পর্শ না করেন ৷ পাশাপাশি এটাকে খোলা ও পরার সময় শুধুমাত্র স্ট্র্যাপ ব্যবহার করে পরতে ও খুলতে হবে ৷ মাস্ক ব্যবহার করলেও কিন্তু সোশ্যাল ডিসটেনসিং মেনে চলতে হবে ৷


কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলে গিয়ে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক হয়েছে ৷ বাড়ির তৈরি কাপড় দিয়ে মাস্ক বানালেও তা কার্যকর হবে ৷ বাড়িতে তৈরি ফেসকভার যেভাবে কাজ করবে সেটা হল যদি কেউ সংক্রমিত থাকেন তাহলে তাঁর সঙ্গে মুখোমুখি কথা হলে এই মাস্ক বাঁচায় ৷ বিশেষত যে জায়গায় ভিড় রয়েছে অর্থাৎ বাজার সেখানে এই মাস্ক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে ৷ যখন গাড়িতে সফর করছেন অর্থাৎ যেখানে কোনওভাবেই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং সম্ভব নয় সেখানেও মাস্কের ব্যবহার কাজ দেবে ৷